অসময়ে চলে গেলেন সাহারা আপা : নাহিদ সুলতানা যুথী

প্রকাশিত: ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০২০

অসময়ে চলে গেলেন সাহারা আপা : নাহিদ সুলতানা যুথী
  •  অনলাইন ডেস্ক

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এডভোকেট সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে স্মৃতিচারণ করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সহধর্মিনী সিনিয়র আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী।তিনি প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ ও সাবেক মন্ত্রী সাহারা খাতুনকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে ফেসবুক স্টাটাসে যা বলেছেন তা হুব হুব সিলেটের দিনকালের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলে:

৯ই জুলাই ২০২০ সালে ব্যাংককের বামুনগ্রাড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমাদের আইন অঙ্গনের আইকন ,আইনজীবীদের অভিভাবক আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, এডভোকেট সাহারা আপা চলে গেলেন ( ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্নাইলাহি রাজিউন ) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক মহিলা আইনজীবী সমিতি ও আন্তর্জাতিক মহিলা জোটের সদস্য। এর আগে তিনি ২রা জুন ২০২০ সাথে বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে প্রথমে ঢাকার গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বামুনগ্রাড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এডভোকেট সাহারা আপা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে একজন আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৪৩ সালের ১ মার্চ ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন

সাহারা আপা ছাত্র জীবনেই রাজনীতিতে যুক্ত হন।তিনি বর্তমানে একজন সংসদ সদস্য ছিলেন , আজ এই দিনে দুঃখ ভারাক্রান্ত চিত্তে একটা কথাই মনে পরছে সুপ্রিম কোর্ট বার এর নির্বাচনের পূর্বে বাসায় গিয়েছিলাম ( আগেও বহুবার গিয়েছি ফারমগেট এর বাসায় ) উত্তরার বাসায় প্রথম গেলাম । অনেক খাবার দাবার আতিথেয়তা ,আমার মেয়ে বৃষ্টি কে অনেক আদর করলেন আর ও বললেন পরশ খালা ডাকে তুমি খালাই ডেকো, চেষ্টা করেছি কিন্তু প্রাণের আপাকে খালা ডাকা হয় নাই … বঙ্গবন্ধু,বঙ্গবন্ধু কন্যা ,আওয়ামীলীগ ,পরিশেষে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সাথে ছিল উনার আত্মার সম্পর্ক । এমন আস্থাভাজন ত্যাগী নেতার কথা বলে শেষ করা যাবে না …।শুধু মনে পরছে ২০০১ সালে যিনি আমাকে বার এ প্রথম সহ সম্পাদক পদে নির্বাচন করিয়েছিলেন ,পরে ২০০৮ এ উনার নির্দেশেই আমি treasarar পদে নির্বাচন করেছিলাম …। এই অঙ্গনে কিছু বলার প্রয়োজন হলে যে মানুষটিকে অকপটে বলা যেতো তিনি এই মহীয়সী নারী
যাকে আমরা কি দিতে পেরেছি জানিনা কিন্তু যার কাছ থেকে সাহায্য সহযোগিতা পায় নাই এমন আইনজীবী খুব কম আছে ,মাত্র ৭৭ বৎসর খুব বেশি অকালে তিনি চলে গেলেন
আমি আমার আন্তরস্থল থেকে আপার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি ,মহান রাব্বুল আলামিন উনাকে বেহেস্তের সর্বচ্চ স্থানে অধিস্তিত করুন আমীন …….

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল