আগামীকাল ৮ডিসেম্বর মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস

প্রকাশিত: ৫:৫৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২০

আগামীকাল ৮ডিসেম্বর মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস

বিকাশ দাশ মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ::

এক এক করে জেলার সকল উপজেলা শক্রু মুক্ত হয়ে অবশেষে আগামীকাল ৮সিসেম্বর মৌলভীবাজার জেলা সম্পুর্নরুপে হানাদার মুক্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা শসস্ত্র সংগ্রাম করে পাক হানাদার বাহিনীকে বিতারিত করে শক্রুমুক্ত করেছিলেন এজেলাকে।
তৎকালীন সিলেট জেলার পাকবাহিনীদের ব্রিগেড হেড কোয়াটার মৌলভীবাজারে থাকায় পাকবাহিনীর নির্যাতন বেশী হয়েছিল জেলায়। পাকবাহিনীর নির্যাতনের স্বাক্ষী হয়ে আছে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন গনকবর,চাঁদনীঘাট মনুব্রীজ সংলগ্ন গনহত্যার স্থান,আখাইলকুড়া ইসলামপুর গনকবর,বুদ্ধিমন্তপুর গনকবর, শাহমোস্থফা সড়কস্থ গনকবর,পিটিআই সংলগ্ন বাংঙ্কার সহ ছোট-বড়মিলে জেলা ২৬৫টি বধ্যভূমি। এছাড়াও অজানা অনেক বধ্যভূমি রয়েছে যা এখনো সনাক্ত আজও করা হয়নি।
যে স্বপ্ন ও আদর্শ নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন স্বাধীনতার ৪৩বছর পরও তা বাস্তবায়ন বর্তমান সরকারের আমলে কিছুটা হলে ও সম্পুর্নরুপে হয়নি। ১৯৭১সালের ৩০এপ্রিল থেকে ৭ডিসেন্বর ভোর রাত পর্যন্ত পাকিস্থান হানাদার বাহিনী হত্যা করেছিল নিরপরাধ নারী-পুরুষসহ সাধারন মানুষকে। মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর যৌথ লড়াইয়ের পর ৭ডিসেম্বর পাক বাহিনী মৌলভীবাজার থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ৮ডিসেম্বর গন পরিষদ সদস্য আজিজুর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিয়ে তৎকালীন মৌলভীবাজার মহকুমা কার্যালয় (জর্জ কোট) প্রাঙ্গনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে ছিলেন আনুষ্টানিকভাবে।
একটি স্বাধীন দেশ ও একটি পতাকার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন ছিল এদেশের অর্থনৈতিক মুক্তি কিন্তু তা এখনো পূরন হয়নি। বর্তমান প্রজন্ম অনেকেই জানেনা ৮ডিসেম্বর কি,কেন। তাছাড়া আগামী প্রজন্মকে জানাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার দাবী জানান স্খানীয় বাসিন্দারা।
মুক্তিযুদ্ধ কি,কেন ও কারা কিভাবে করেছিল এবং স্মৃতিময় স্থান সমুহের পটভুমি বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে সটিক ইতিহাস জানাবে হবে সবাইকে দাবী সচেতন যুব সমাদেও কয়েকজন।
এব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীস আনইজীবি- সাংবাদিক মুজিবুর রহমান মুজিব বলেন, বধ্যভূমি,গনহত্যার স্থান সংস্কার ও সংরক্ষনসহ যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা যথাযথ মর্যাদা পাবে আশা করছেন মুক্তিযোদ্ধারা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য দ্রুত শেষ হবে। উপজেলা পর্যায়ে এক এক মুক্ত হয়ে অবশেষে ৮ডিসেম্বর মুক্ত হয় মৌলভীবাজার। আর তার পর হইতে পালিত হয়ে আসছে এদিনটি।
এব্যাপারে জামাল আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার বলেন, ভাংকার প্রাঙ্গনে দাড়িয়ে গন পরিষদ সদস্য বর্তমান জেলা পরিরষদ প্রশাসক আজিজুর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের বর্ননা করলেন।
যে স্বপ্ন ও আদর্শ নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন স্বাধীনতার ৪৩বছর পরও বর্তমান সরকারের আমলে কিছুটা তা বাস্তবায়ন হলে ও সম্পুর্নরুপে হয়নি। দেশের বীর সন্তানদের যথাযথ মর্যাদা ও বধ্যভুমি চিহ্রিত করনের দাবী সর্বস্থরের মানুষ।