আগামী বন্যার শঙ্কায় কৃষকদের পাশে দাড়ালো শ্রীমঙ্গল কলেজ ছাত্রলীগ

প্রকাশিত: ১:১২ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২০

আগামী বন্যার শঙ্কায় কৃষকদের পাশে দাড়ালো শ্রীমঙ্গল কলেজ ছাত্রলীগ

স্বপন দেব, মৌলভীবাজার
দেশে করোনার বিরুদ্ধে চলমান এই যুদ্ধে পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন, মজুদ ও সরবরাহ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। আর এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আশির্বাদ হয়ে এসেছে বোরো ধান। এবার দেশজুড়ে বোরোর বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ঝড়-বৃষ্টির সাথে পাল্লা দিয়ে সময় মতো এ ধান ঘরে তুলতে পারাটা কৃষকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশজুড়ে লকডাউন পরিস্থিতির কারণে কৃষি শ্রমিকের অভাবে সময় মতো ধান কাটার অনেকটা দু:শ্চিন্তায় ফেলে কৃষকদের। সারাদেশের ন্যায় মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে কৃষি শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। শ্রমিকের অভাবে বোরো ধান ঘরে তুলতে পারছেন না কৃষকরা। বন্যার আগে ধান তোলা নিয়ে শঙ্কায় থাকা কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহনেতাকর্মীরা।

শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার পশ্চিম ভাড়াউরার হাইল হাওর এলাকায় এক গরীব কৃষকের প্রায় পাঁচ একর জমির ধান ১৫ জনের একটি দল সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেটে বাড়িতে তুলে দেয় এ ছাত্রসংগঠনটি। এ ব্যাপারে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কান্তি দাশ বলেন, করোনা ভাইরাসের ভয়ে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। সারা দেশ লকডাউনে থাকায় কৃষকরা অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছেন। তাদের সাহায্যার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অসহায় কৃষকের ধান কেটে দিতে এখানে সেচ্ছাশ্রমের জন্য উপস্থিত হয়েছে।

উল্লেখ্য এ বছর শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ৯,৪১২ হেক্টর (হাওর এলাকায় ৩,৬৫০ হেক্টর এবং সমতলে ৫,৭৬২ হেক্টর) জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে হাওরাঞ্চলের প্রায় ৩৫ ভাগ ধান কাটার উপযোগী হয়েছে এবং প্রায় ২০ ভাগ ধান কৃষকের ঘরে উঠে গেছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহে সকল প্রজাতির ধানই পাকা শুরু করবে। আর এই সময়টাতে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেক্ষেত্রে কোনরকম ক্ষতি ব্যতিরেকে কৃষকের ধান ঘরে তুলার ক্ষেত্রে অনেকটা ঝুকিতে আছেন। সাধারণত চা শ্রমিকদের একটা অংশ এ কাজে প্রতিবছর যুক্ত থাকেন তবে এবার তারা সেভাবে ধান কাটার কাজে অংশ নিতে পারছেন না।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল