আজ রহমতের ৫ম দিন

প্রকাশিত: ২:১০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২০

আজ রহমতের ৫ম দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাসে অধিক পরিমাণে তওবা ও ইস্তিগফার তথা আল্লাহ পাকের নিকট মা প্রার্থনা করার নির্দেশ দিয়েছেন।মানুষের জীবনে সর্বণ কমবেশি গুনাহ হয়ে থাকে,প্রতিদিন মানুষের জীবনে পাপ হতে পারে। অতএব যতবার পাপ হবে ততবার তওবা,ইস্তিগফার করতে হবে। আল্লাহ পাকের নিকট মা প্রার্থনা করতে হবে। তওবা ও ইস্তিগফার করা সকলের জন্য অত্যন্ত জরুরি বিষয়। কেননা দুনিয়াতে যত বিপর্যয় সৃষ্টি হয় ঝড়,জলোচ্ছ্বাস,বন্যা ভূূমিকম্প ইত্যাদি সবকিছু মানুষের গুনাহর কারণে হয়।এজন্য ইস্তিগফার করা আবশ্যক। ইবনে আবিদ দুনিয়া (রহ.) হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন,তিনি বলেন,আমি এবং অন্য একজন সাহাবী একদা হযরত আয়েশা (রা.) এর দরবারে হাজির হই এবং আরজ করি, হে উম্মুল মুমিনিন! ভূমিকম্পের ব্যাপারে কোনো হাদীস বলুন! তিনি বললেন,মানুষ যখন ব্যাভিচারকে বৈধ মনে করে,শরাব পান করতে থাকে এবং বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার শুরু করে তখন আল্লাহর মর্যাদাবোধে আঘাত লাগে।অতঃপর তিনি জমিনকে কম্পনের নির্দেশ দেন। যদি মানুষ দ্রুত তওবা করে নেয় এবং গুনাহ পরিত্যাগ করে তাহলে তো ভাল,অন্যথায় তিনি তাদের জনবসতি ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করে দেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে একবার ভূমিকম্প হয়েছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাদেরকে বললেন, তোমাদের প্রভু তোমাদেরকে গুনাহ থেকে তওবা করার নির্দেশ দিচ্ছেন। সুতরাং তওবা করো।
তওবা ও ইস্তিগফারের বিষয়টি এতই গুরুত্বপূর্ণ যে,স্বয়ং নবী করীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিদিন বহুবার তওবা করতেন।তিনি নিষ্পাপ হওয়া সত্ত্বেও এতবার তওবা করে উম¥তকে তওবা করার শিা দিয়ে গেছেন।হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে,হযরত আবু হুরায়রা (রা.)বলেন যে,আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, “আল্লাহর কসম! আমি প্রতিদিন সত্তরবারের বেশি তওবা ও ইস্তিগফার করি।(বুখারী শরীফ) অন্য হাদীসে বর্ণিত হয়েছে হযরত ইবনে উমর (রা.) বলেন যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,হে লোকেরা!(তোমরা জেনে রাখ) আমি প্রতিদিন একশ বার আল্লাহর কাছে তওবা করি।(মুসলিম শরীফ) তওবা ও ইস্তিগফারের অনেক ফজিলত রয়েছে। তন্মধ্যে একটি হলো তওবার দ্বারা গুনাহ মাফ হয়। হযরত আয়েশা (রা.) বলেন,নবী করীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,বান্দা যখন গুনাহর কথা স্বীকার করে তওবা করে আল্লাহ পাক তার তওবা কবুল করেন অর্থাৎ গুনাহ মাফ করে দেন।(বুখারী ও মুসলিম) আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তওবা করার তাওফিক দান করুন। আমীন!

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল