আজ রহমতের ৭ম দিন

প্রকাশিত: ২:৪৫ পূর্বাহ্ণ, মে ১, ২০২০

আজ রহমতের ৭ম দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক 

রমজান মাস ঈমানদারদের জন্য প্রশিক্ষণের মাস।কল্যাণ লাভের উপযুক্ত সময়।জীবন চলার পথে যত রকম অপরাধ আছে,ব্যক্তিজীবন হতে শুরু করে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সকল অঙ্গন থেকে তা দূরীভূত হওয়ার জন্য এ মাসকে প্রশিক্ষণের মাস হিসেবে নির্ধারিত করা হয়েছে।রমজান মাসে সিয়াম সাধনার কঠিন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক মুসলমান যদি মিথ্যা ও পাপাচার বর্জনের অভ্যাস গড়ে তোলেন,তাহলে নিঃসন্দেহে এ নশ^র পৃথিবী শান্তি ও নিরাপত্তার অমরপুরীতে পরিণত হবে।ইসলাম অত্যন্ত জোরালোভাবে অশ্লিলতা,পঙ্কিলতা, জাহিলিয়্যাত ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে এবং জীবন ও জগতের সর্বত্র ভাল কাজের নির্দেশ দিয়েছে।যাতে করে মানুষ মানবিক গুণাবলী অর্জনে সক্ষম হয় এবং পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র জীবনের অধিকারী হতে পারে।কারণ,মানুষের প্রবৃত্তির স্বাভাবিক গতি ভোগ-লিপ্সার প্রতি ধাবিত হওয়া, সিয়াম সাধনা মূলত এই স্বাভাবিক গতিকে নিয়ন্ত্রনের শিক্ষা দেয় ও প্রতিরোধ করে।
বস্তুতঃ সিয়াম সাধনার কঠোর অনুশীলনের মধ্যে মহান আল্লাহর এক পরীক্ষাও নিহিত আছে।পবিত্র কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছেঃ এবং অবশ্যঅই আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করব ভয় দ¦ারা ক্ষুধা ও অভাব অনটন দ্বারা, ধন-সম্পদ বিনষ্টের দ্বারা এবং ফল ও ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি দ্বারা।আর ধৈর্য্যশীলদের সুসংবাদ প্রদান করুন।(সূরা বাকারা)
মহান আল্লাহর এই ঘোষণার প্রতি গভীর দৃষ্টি দান করলে সহজেই বোঝা যায় যে,রমজান মাসের সিয়াম সাধনা মূলতঃ ধৈর্য্য,ত্যাগ- তিতিক্ষার ফলশ্রুতিস্বরূপ।কারণ, ধৈর্য্য ও সহনশীলতা ছাড়া সিয়াম পালন করা কিছুতেই সম্ভব নয় আর এ কথা সুনিশ্চিত যে,মহান আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে আছেন আর তিনি ধৈর্য্যশীলদের ভালোবাসেন।মহান আল্লাহর এহেন ভালোবাসা লাভের অপূর্ব সুযোগ সিয়াম সাধনার মাঝে নিহিত আছে বলেই হাদীস শরীফে গোটা রমজান মাসকে ধৈর্য্য,সহনশীলতা, ত্যাগ ও তিতিক্ষার মাস বলে অভিহিত করা হয়েছে এবং প্রকৃত ধৈর্য্যশীলদের জন্য প্রতিদান হিসেবে জান্নাত লাভের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে।মহান আল্লাহ আমাদেরকে মাহে রমজানের প্রশিক্ষণ সঠিকভাবে গ্রহণ করার তাওফীক দান করুন। আমীন!

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল