২৬শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:০৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০২০
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
সারাদেশের মত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে হাটবাজারের খাদ্যপণ্যের দোকান ব্যতীত জেনারেল স্টোরসহ সকল প্রকার দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানীর পন্যসামগ্রী সরবরাহকারী যানবাহন চলাচলও বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানী ডেটল ও শেভলন জাতীয় জীবাণুনাশক তরল বোতল জাতীয় সামগ্রী সরবরাহ না থাকায় সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়াও গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান বন্ধ থাকায় নতুন করে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের সংকট দেখা দেওয়ায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
রবিবার সকালে কমলগঞ্জের ভানুগাছ বাজারের ও শমশেরনগরের বাণিজ্যিক ব্যাংক শাখাগুলো ঘুরে দেখা যায়, ২ দিন আগেও এসব ব্যাংকে প্রবেশকালে জীবাণুনাশক তরল প্রদার্থ গ্রাহাকদের হাতে স্প্রে করে দিতেন। কিন্তু ডেটল ও শেভলনের সংকট দেখা দেওয়ায় রোববার সকাল থেকে অনেক ব্যাংক শাখায় জীবাণুনাশক তরল পদার্থ স্প্রে করতে পারছেন না।
পূবালী ব্যাংক শমশেরনগর শাখা ব্যবস্থাপক নুপুর বৈদ্য, সোনালী ব্যাংক শমশেরনগর শাখা ব্যবস্থাপক রিপন মজুমদার বলেন, তাদের স্টকে কিছু জীবাণুনাশক তরল পদার্থ আছে। তা দিয়ে আপাতত কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু সোমবার ব্যাংকে আসা গ্রহকদের ভিতরে প্রবেশকালে আর জীবাণুনাশক তরল পদার্থ স্প্রে করা যাবে না। কারণ হিসেবে তারা জানান, গত দুই দিন ধরে বাজারের কোন ফার্মেসীতে ডেটল, শেভলন ও জীবাণুনাশক কোন প্রকার তরণ পদার্থ পাওয়া যাচ্ছে না। যানহাবহন চলাচল বন্ধ থাকায় জেলা সদর থেকেই এসব জীবাণুনাশক তরল পদার্থ আনা যাচ্ছে না।
কমলগঞ্জের কয়েকজন ফার্মেসী মালিক বলেন, জীবাণুনাশক হিসেবে প্রথম দফায় প্রয়োজনে মানুষজন ডেটল ও শেভলন কিনে নিয়ে গেছেন। বর্তমানে কোম্পানীগুলো বোতলজাত ডেটল ও শেভলন সরবরাহ করছে না বলে বাজারে এগুলোর সংকট দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশ না করে একটি ঔষধ প্রস্তুতকারী কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, এগুলোর আপাতত সরবরাহ নেই বলে ফার্মেসীগুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে না। এ জন্য আপাতত সংকট দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে বাজারের হার্ডওয়ার দোকান থেকে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় করা হলেও গত ২৫ মার্চ থেকে সিলিন্ডারের গ্যাস দোকানগুলো বন্ধ থাকায় বাসায় এলপি গ্যাস ব্যবহারকারীরা সিলিন্ডার কিনে নিতে পারছেন না। এ অবস্থায় কমলগঞ্জে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। কয়েকজন এলপি গ্যাস ব্যবহারকারী জানান, তারা বাসায় একটি অতিরিক্ত সিলিন্ডার রেখেছিলেন। তা দিয়ে আপাতত রান্নার কাজ চলছে। তবে আগামী ২-৩ দিন পর আবারও নতুন করে গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে হবে। তবে গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান না খুললে তাদের রান্নাবান্না বন্ধ থাকতে হবে। গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয়কারী শামীম প্রসা বলেন, তিনি পেট্রোল ডিজিলের পাশাপাশি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় করেন বলে ক্রেতাদের কাছে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রয় করতে পারছেন। বাকী দোকানগুলো সবাই হার্ডওয়ারের পাশাপাশি সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রয় করেন। তাই তাদের হার্ডওয়ারের দোকান বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, ‘হার্ডওয়ারের দোকানদাররা চাহিদামত ক্রেতাদের কাছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় করতে পারবে। তবে হার্ডওয়ারের অন্য সামগ্রী বিক্রি করতে পারবে না। দামও বৃদ্ধি করতে পারবে না। জ্বালানি হিসেবে তারা শুধু গ্যাস সিলিন্ডিার বিক্রয় করবেন। এসময় দোকানে অহেতুক কোন প্রকার লোক সমাগম বা আড্ডা দিতে পারবেন না।’
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
(পরিচালক)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ আম্বিয়া পাভেল
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের কর্তৃক ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা (লিফটের-৮), জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে প্রকাশিত। ( শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের দুইটি প্রতিষ্ঠান দৈনিক সিলেটের দিনকাল ও সিলনিউজবিডি ডট কম)
office: Anamika-34. Purbo Shahi Eidgah, Sylhet 3100.
ইমেইল : pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Facebook
মোবাইল: +8801712540420
Design and developed by M-W-D