কমলগঞ্জে স্বামীকে পেতে আইনের আশ্রয়ে সেই শারমিন

প্রকাশিত: ৮:১৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০১৯

কমলগঞ্জে স্বামীকে পেতে আইনের আশ্রয়ে সেই শারমিন

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে অনশনকারী সেই শারমিন সংসার করতে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। এরইমধ্যে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

শারমিন আক্তার বলেন, প্রেমের সম্পর্ক ধরে আবু বক্কর সিদ্দিক আমাদের বাড়িতে আসেন। পরে স্বজনরা আনুষ্ঠানিকভাবে আমার সঙ্গে আবু বক্কর সিদ্দিকের বিয়ে সম্পন্ন করে দেন। পরে  স্বামীর কথায় শ্বশুর বাড়ি কেছুলুটিতে গেলে আশ্রয় না দিয়ে নির্যাতন শুরু করেন স্বামী। এছাড়া তিনি আমাকে তালাক দিয়েছেন বলে গুঞ্জন রটিয়েছেন। অথচ কোনো তালাকনামা পাইনি।

অভিযুক্ত আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, বড়চেগ গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে জুলহাস মিয়া প্রবাসে যেতে এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকা ঋণ নেয়। ৩ সেপ্টেম্বর রাতে তার বাড়ি থেকে ঋণের টাকা আনতে গেলে জুলহাসের বোন ও খালা টাকা দিতে কালক্ষেপণ করে। হঠাৎ তারা চিৎকার দিয়ে আত্মীয়-স্বজনকে ডেকে কাজি আনেন। পরে শারমিন আক্তারকে বিয়ে করতে জোরপূর্বক কাবিননামায় স্বাক্ষর নেয়। কিন্তু পরদিন নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে শারমিনকে তালাক দেই।

এ ব্যাপারে শমসেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জুয়েল আহমদ বলেন, প্রেমের সম্পর্কের জন্য প্রেমিকার বাড়িতে যান আবু বক্কর। তবে বিয়েটি সামাজিকভাবে হয়নি। এ নিয়ে দুইবার দ্বন্দ্বের সমাধানের চেষ্টা করি। উভয়পক্ষ যার যার অবস্থান থেকে অনড় থাকায় সমাধান করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরো বলেন, তালাক দেয়া হলেও মোহরের টাকা পরিশোধ হয়নি। এ অবস্থায় আদালতের মাধ্যমে সমাধানে যেতে দুই পক্ষকে পরামর্শ দিয়েছি।

শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, অনেক আগে আবু বক্কর সিদ্দিক ঋণের টাকার জন্য জিডি করেন। তবে বিয়ের পর স্ত্রীকে ত্যাগ করেছেন বলে শারমিন একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি