করোনা আতঙ্কে ছুটির দাবি: এক যোগে ২৩০ চা বাগানে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ২:৪৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০২০

করোনা আতঙ্কে ছুটির দাবি: এক যোগে ২৩০ চা বাগানে মানববন্ধন

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলেও চা শ্রমিকদের এ ছুটির বাহিওে রাখায় প্রতিদিন চা শ্রমিকরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করলেও সাধারণ ছুটির দাবিতে আঞ্চলিক চা বাগানগুলোর শ্রমিকরা বিচ্ছিন্নভাবে ছুটিতে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে মজুরি না পাওয়ার আশঙ্কায় আবারও শ্রমিকরা ২ দিন পরে কাজে যোগ দেন। এবার বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরী সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধকালে সাধারণ ছুটির দাবিতে শনিবার (১১ এপ্রিল) সকালে এক যোগে দেশের ২৩০টি চা বাগানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যালয় শ্রীমঙ্গলস্থ লেবার হাউজ সুত্রে জানা যায়, সরকারি সিদ্ধান্তে এই সময়ে চা বাগানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা না করায় চা বাগান সমূহে শ্রমিকদের মাঝে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ আলোকে গত ৭ এপ্রিল শ্রীমঙ্গলস্থ চা শ্রমিক ইউনিয়নের লেবার হাউজে ইউনিয়নের কার্যকরী পরিষদের জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে সেই বৈঠকে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে চা শ্রমিক জনপ্রতিনিধি, বিগত চা শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী প্রার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিটি চা বাগান পঞ্চায়েত থেকে সকল চা বাগান ব্যবস্থাপকের কাছে সাধারণ ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়ে ইতোমধ্যেই লিখিত আবেদন করা হয়েছে। তাছাড়া শ্রম মন্ত্রণালয়েও লিখিত আবেদন করা হয়েছে। এ আবেদনের পরও চা বাগান শ্রমিকদের সাধারণ ছুটি না দেওয়ায় জরুরী বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার সকাল ৯টায় এক যোগে দেশের ২৩০টি চা বাগানে শ্রমিকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে। এ কর্মসূচি পালনের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে বলেও জানা যায়।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী শুক্রবার প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, দেশের সকল ক্ষেত্রে এই দুর্যোগের সময় সাধারণ ছুটি চললেও কি কারণে শুধুমাত্র চা শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হয়নি তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি মনে করেন প্রধানমন্ত্রীকে হয়তো ভুল বোঝানোর কারণে তিনি চা বাগানের বাস্তবতা বোঝেননি। চা বাগানে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হলে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতদিন অপেক্ষার পর ৭ এপ্রিলের জরুরী সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার সারাদেশের ২৩০টি চা বাগানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে চা শ্রমিকরা। মানববন্ধন শেষে চা বাগানে সাধারণ ছুটির দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রেরণ করা হবে। সাথে সাথে আবার বৈঠক করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।