কিংবদন্তির সুরের মায়া

প্রকাশিত: ২:৩১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯

কিংবদন্তির সুরের মায়া

বিনোদন ডেস্কঃঃ  পাঁচ দশক ধরে গানে গানে কোটি শ্রোতার মন জয় করেছেন নন্দিত কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা। সম্প্রতি তার আত্মপ্রকাশ হয়েছে সংগীত পরিচালক হিসেবে। সুরকার হিসেবে প্রথম ছবিতেই পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এবার তার সুরে গেয়েছেন ভারত ও পাকিস্তানের চার গুণী শিল্পী। রুনা লায়লার এই নতুন পরিচয় নিয়ে এবারের আয়োজন

‘এক কিংবদন্তি শিল্পীর নাম রুনা লায়লা’, ‘রুনা লায়লার কণ্ঠ শুধু সংগীতাঙ্গন নয় দেশেরও সম্পদ’, ‘একজন রুনা লায়লা জন্ম নেন শতবর্ষে একবার’- এমন আরও অনেক কথা শোনা যায় দেশবরেণ্য কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লাকে নিয়ে। শুধু দেশ নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে সংগীতপ্রেমীদের মন জয় করেছেন তিনি। একদিন-দু’দিন নয়, গানে গানে তিনি পাড়ি দিয়েছেন পাঁচ দশকের দীর্ঘ পথ। তাই কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লাকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার প্রয়োজন পড়ে না। সবসময় তিনি আলোচনায়। এ সময়ে এসে তাকে নিয়ে নতুন করে কিছু লিখতেই হচ্ছে। অবশ্য লেখার কারণও আছে। কেননা, বেশ কিছুদিন আগে তার আত্মপ্রকাশ হয়েছে সংগীত পরিচালক হিসেবে। অনেকটা ভালো লাগা থেকে ‘একটি সিনেমার গল্প’ ছবির একটি গানের সুর করেছিলেন তিনি। অবাক করা বিষয় হলো, গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা এবং আঁখি আলমগীরের গাওয়া ‘গল্প কথার ঐ কল্পলোকে’ গানের জন্য শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। যদিও তার এই অর্জনে অবাক হননি অনেকে। তাদের কথায়, রুনা লায়লার মতো বড় মাপের শিল্পী, পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে সংগীতের সঙ্গে যিনি নিজেকে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রেখেছেন, তার যে কোনো সৃষ্টি অনবদ্য হয়ে উঠবে- এটাই স্বাভাবিক। এ তো গেল ভক্ত-শ্রোতা আর সংগীতাঙ্গনের মানুষদের কথা। সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ নিয়ে রুনা লায়লা কী বলেন, এবার সেটাই জেনে নেওয়া যাক। শুরুতেই বিস্মিত হতে হলো এ কথা শুনে যে, সুরকার হওয়ার ইচ্ছা তার কোনোকালেই ছিল না। রুনা লায়লা বলেন, “অনেকে বলতেন, গান তো অনেক গাইলে, সুর কেন করো না? এই প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়নি। কম্পোজিশন করতে ভয় পাই, এটাও বলা হয়নি কাউকে। এভাবেই অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর, ‘একটি সিনেমার গল্প’ ছবির জন্য হঠাৎ করেই ‘গল্প কথার ঐ কল্পলোকে’ গানটির সুর করে ফেলি। ঠিক যেভাবে চেয়েছি, গানটি আঁখি [আঁখি আলমগীর] সেভাবে গেয়েছে। ব্যস সুরকার হিসেবে এভাবেই আত্মপ্রকাশ।” কিন্তু কখনও কী ভেবেছিলেন, প্রথম সুর করা গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাবেন? এর উত্তরে রুনা লায়লার সোজাসাপ্টা জবাব, ‘না, এটা ভাবিনি। তাই এমন স্বীকৃতি আমার জন্য অন্যরকম এক পাওয়া বলেই মনে করি।’

প্রথম গানেই সাফল্য ও স্বীকৃতি পাওয়ার পরও রুনা লায়লা নিয়মিত সুরকার হিসেবে কাজ করবেন- এমন কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি কখনও। তাই হঠাৎ করে যখন জানা গেল, ভারতীয় কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী আশা ভোঁসলে ও আরেক গুণী শিল্পী হরিহরণ এবং পাকিস্তানের সাড়া জাগানো আরও দুই কণ্ঠশিল্পী আদনান সামী ও রাহাত ফতেহ আলী খানকে নিয়ে মিশ্র অ্যালবাম তৈরি করছেন তিনি, তখন কম-বেশি সবাই চমকে গেছেন। রুনা লায়লার কাছে তাই জানতে চাওয়া হয়েছিল, হঠাৎ ভারত ও পাকস্তানের খ্যাতিমান শিল্পীদের নিয়ে অ্যালবামের পরিকল্পনা মাথায় এলো কীভাবে? রুনা লায়লা বলেন, “পরিকল্পনা আমার নয়, সাংবাদিক রাফির। তরুণ শিল্পীর জন্য আমি সুর করেছি দেখে একদিন রাফি আমাকে বলল, ‘আপা আপনি তো চাইলে গুণী শিল্পীদের নিয়ে একটি সংকলন করতে পারেন।

সুরকার হিসেবে যখন আত্মপ্রকাশ করেছেন, তখন একটি অ্যালবাম তো করতেই পারেন।’ তার এই কথা শুনে মনে হয়েছে, আইডিয়াটা মন্দ না। চেষ্টা করে দেখা যেতেই পারে।” সেই ভাবনা থেকে কাজের কয়েকজন মানুষের সহযোগিতায় পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে শুরু করে। পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পাশে এসে দাঁড়ায় সিটি ব্যাংক।’ অ্যালবাম আয়োজন সম্পর্কে আরও জানা গেছে, ২০০৯ সালে সিটি ব্যাংকের হাত ধরে বাংলাদেশে আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংক ব্যবসা শুরু করে। বাংলাদেশে আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ডের দশম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে ‘লিজেন্ডস ফরএভার’ অ্যালবামটি প্রকাশের পরিকল্পনা করে সিটি ব্যাংক। এ সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পর অ্যালবামের কাজ আর থেমে থাকেনি। এরপর একে একে গান তৈরি এবং মুম্বাই ও লাহোরের রেকর্ডিং স্টুডিওতে গানগুলো আশা ভোঁসলে, হরিহরণ, আদনান সামী ও রাহাত ফতেহ আলী খানের কণ্ঠে রেকর্ড করা হয়। এ তো গেল গান রেকর্ডের কথা। এবার জানা যাক কীভাবে সাজানো হয়েছে রুনা লায়লার সংগীত পরিচালনার প্রথম মিশ্র অ্যালবামটি। পাঁচটি শ্রুতিমধুর গানে সাজানো এই অ্যালবামে আশা ভোঁসলে গেয়েছেন ‘চলে যাওয়া ঢেউ’ শিরোনামের একটি গান। হরিহরণের গানের শিরোনাম ‘কে বলে নেই ভালোবাসা’। রুনা লায়লা ও আদনান সামীর দ্বৈত গানের শিরোনাম ‘থাকো যখনি তুমি’। আর রুনা লায়লার একক কণ্ঠে গাওয়া গানটি হলো ‘আজ এতদিন পর’। রাহাত ফতেহ আলী খান কণ্ঠ দিয়েছেন ‘ভালোবাসা আমার’ শিরোনামের গানটিতে। এর মধ্যে তিনটি গান কবির বকুলের লেখা, দুটি গানের কথা লিখেছেন বরেণ্য গীতিকার মোহম্মদ মনিরুজ্জামান মনির। রুনা লায়লার সুর ও কম্পোজিশনে মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছেন রাজা কাশেফ। গানগুলো রেকর্ড করা হয়েছে মুম্বাইয়ের ইয়াশ রাজ স্টুডিও, আজিভাসান ও ইন দ্য মিক্স স্টুডিওতে। আর রাহাত ফতেহ আলীর খানের গানটি রেকর্ড করা হয়েছে তার নিজস্ব আরএফএকে স্টুডিওতে। মিক্স ও মাস্টারিং হয়েছে লন্ডনের হাই-স্ট্রিট স্টুডিওতে। অ্যালবামের গানগুলো প্রকাশ করা হয়েছে সিটি ব্যাংকের ইউটিউব চ্যানেলে। তার আগে গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর হোটেল রেডিসনে বাংলাদেশে আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ডের দশম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে গানগুলোর মিউজিক ভিডিও প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পারফর্ম করেন হরিহরণ। গানগুলোর মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন শাহরিয়ার পলক। এতে মডেল হয়েছেন নাজিয়া হক অর্ষা, শ্যামল মাওলা, কাজী নওশাবা, জুঁই, ইচ্ছা, দোয়েল ম্যাশ, তানভীর ও ইতমাম।

রুনা লায়লার সুরে বিভিন্ন দেশের শিল্পীদের গান গাওয়ার বিষয়টি অবাক করার মতো না হলেও একটি বিষয়ে অবাক হতে হয়েছে। তা হলো হরিহরণ, আদনান সামী ও রাহাত ফতেহ আলীর বাংলা গান গাওয়ার বিষয়টি। এর আগে তাদের কণ্ঠে বাংলা গান শোনা যায়নি। এটা কীভাবে সম্ভব হলো?

সে প্রশ্ন করতেই রুনা লায়লা হেসে বললেন, শুরুতে বাংলা উচ্চারণ নিয়ে শিল্পীদের দ্বিধা-সংকোচ ছিল। উচ্চারণ ঠিক হবে কিনা তা নিয়ে যে ভাবনা ছিল, তা আমি দূর করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, বাংলা উচ্চারণ ঠিক হচ্ছে কিনা, তা গাওয়ার সময় আমি বলে দেব। তারা আমার কথায় সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং মনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাটিয়ে গান গেয়েছেন। আর আশা ভোঁসলে তো বাংলা গান অনেকে গেয়েছেন। তার জন্য এটা কোনো সমস্যাই ছিল না। তবে গান রেকর্ডিংয়ের অভিজ্ঞতার কথা যদি বলেন, তা হালে বলব, প্রতিটি শিল্পীর সহযোগিতা উল্লেখ করার মতো। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো তারা শিল্পীদের সম্মান করতে জানেন। যখন আমার সুরে গান গাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তখন আনন্দের সঙ্গে কাজটি করতে রাজি হয়েছেন। বাংলা গান আদৌ গাওয়া হয়নি বলে গাইবেন না- এমন কোনো মনোভাব তাদের মধ্যে দেখা যায়নি।’ শিল্পী নির্বাচন বিষয়ে জানতে চাইলে রুনা লায়লা বলেন, ‘কোন শিল্পী কোন গান গাইবেন, তা নিজেই ঠিক করেছি। প্রথম নিজ সুরের অ্যালবাম বলেই পছন্দের কিছু শিল্পীকে দিয়ে গান গাইয়েছি।’ অবশেষে দেশবরেণ্য এই শিল্পীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এমন একটি আয়োজনের পর সুরকার হিসেবে নিয়মিত কাজ করতে দেখা যাবে কিনা?

এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘আগে সুরকার হিসেবে কাজের কথা সেভাবে ভাবিনি, কিন্তু মনে হচ্ছে ভালো কিছু করার সুযোগ থাকলে নিয়মিত সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করা যেতে পারে। তারপরও বলছি, সুরকার হিসেবে কাজের ইচ্ছা থাকলে অদূর ভবিষ্যতে কী করব না করব- তা এখনই বলতে পারছি না।’

আশা ভোঁসলে

আমার ফোনে কোথা থেকে যে মেইল আসে তার লেখা বুঝি না; কথাও ভালো শুনতে পাই না। একদিন কষ্ট করে ফোনের নাম পড়ে বিস্মিত হলাম। ওফ্‌ মাই গড! এ যে রুনা লায়লার ফোন! রিসিভ করার পর তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কেমন আছেন? বললাম, ভালো। এর পর বললেন, ‘আপনি আমার গান গাইবেন? এ কথা শুনে আমি দাঁড়িয়ে গেলাম। বললাম, আপনার গান আমি গাইব না- তা কি হয়? কিন্তু আপনি আমাকে দিয়ে কেন গান গাওয়াবেন? আপনি তো আমার চেয়ে ভালো গান করেন? এ কথা শুনে তিনি হেসেছিলেন। আসলে আমরা ভালো বন্ধু। একটি কাজের জন্য টানা দেড়-দু’মাস দুবাইয়ে ছিলাম। তখন থেকেই আমাদের বন্ধুত্ব। অনেকবার ভেবেছি, ঢাকা যাব। একসঙ্গে বসে খাবার খাব। কিন্তু এখানকার স্টুডিও থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগই পাইনি। সে যাই হোক, বন্ধু রুনা যখন তার সুর-সংগীতে গান গাওয়ার প্রস্তাব দিলেন, সেটা যতটা ছিল বিস্ময়ের ততটাই আনন্দের। চেষ্টা করেছি তার সুরে ‘চলে যাওয়া ঢেউ’ গানটি ভালোভাবে গাওয়ার।

হরিহরণ

আশির দশকের কথা। বোম্বে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এসেছিলেন রুনা লায়লা। মুগ্ধ হয়ে দেখেছিলাম গায়কির স্টাইল ও তার প্যাশন। শ্রোতারা বলেন, রুনা লায়লা সংগীতের এক পাওয়ার হাউস, এনার্জেটিক তার স্টেজ পারফরম্যান্স। এটা মোটেও বাড়িয়ে বলা নয়। কেউ কেউ প্রকৃতি প্রদত্ত ক্ষমতার অধিকারী হয়ে পৃথিবীতে আসেন। রুনা লায়লা তাদের একজন। গজল-ফোক-পপ-সিনেমার গানসহ নানা ধরনের গানে তিনি সমান পারদর্শী।এমন শিল্পী উপমহাদেশে কমই আছেন। তার মতো বড়মাপের একজন শিল্পী আমার বন্ধু- এটা ভাবতেও ভালো লাগে। আমি সম্মানিত তার সুরে গান গাইতে পেরে। ‘কে বলে নেই ভালোবাসা’ গানটি গাইতে গিয়ে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, রুনা লায়লা শুধু বড়মাপের শিল্পীই নন; অসাধারণ এক সংগীত পরিচালক। রুনা লায়লার সুরে বাংলা গান গাইব- এটাও ছিল কল্পনার অতীত। কিন্তু কখনও কখনও বাস্তব সব কল্পনাকে হার মানায়। এটাও তেমনি এক ঘটনা। ভীষণ ভালো লাগায় মনটা ছেয়ে গিয়েছিল।

যখন রুনা লায়লা আমাকে তার সুরে গান গাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। অবাক হয়েছিলাম এত শিল্পী থাকতে তিনি আমাকে তার সুরে গান গাওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়ায়। ভালো লেগেছে এটা জেনেও যে, আমার গায়কি তার ভালো লাগে বলেই শিল্পী হিসেবে আমাকে তার অ্যালবামের জন্য নির্বাচন করেছেন। রুনা লায়লার মতোশিল্পীকে গায়কি দিয়ে ভালো লাগাতে পারাও সৌভাগ্যের বিষয় বলে মনে করি।

আদনান সামী

আমার হৃদয়ের অন্তস্তল থেকে রুনা লায়লার জন্য অভিবাদন। তিনি যে এত দীর্ঘ সময় সংগীত চর্চার সঙ্গে যুক্ত আছেন, তা সত্যিই অভিভূত করে আমাকে। তাকে দেখলেই মনে হয়, একজন কিংবদন্তির এমনই হওয়া উচিত। তার কণ্ঠস্বর সব বয়সী মানুষের মনে এখনও সমানভাবে দোলা দেয়। তিনি সত্যিকারের আইডল। তার সঙ্গে আমার শৈশবের অনেক মধুর স্মৃতি আছে। ১৯৮০ সালের দিকে আবুধাবিতে একটি কনসার্টে অংশ নিতে এসেছিলেন তিনি। আমি তখন বেশ ছোট ছিলাম। কিন্তু আমাকে তিনি কনসার্টে গান গাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। সেদিন আমাকে বেশ কিছু অনুপ্রেরণামূলক কথাও বলেছিলেন, যা আমার পথচলায় আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করেছে। এ জন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি পৃথিবীজুড়ে অগণিত দর্শকও তাকে ধন্যবাদ জানাবেন, কারণ তিনি বিভিন্ন ভাষায় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে আজও শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেন। আর সেই বিশাল মন্ত্রমুগ্ধ শ্রোতাদের দলের একজন হতে পেরে গর্বিত বোধ করছি। তার মতো এমন বহুমাত্রিক শিল্পী সত্যিই বিরল। পৃথিবীজুড়ে সংগীতের সঙ্গে ভালোবাসার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ জানাই।

কাজল/১৯/১২/২০১৯