কুলাউড়ায় ২৬৫ জন শিশুর মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

প্রকাশিত: ৩:৫৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২০

কুলাউড়ায় ২৬৫ জন শিশুর মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

নিজস্ব প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা সীমান্তবর্তী শরীফপুর ইউনিয়নের পালকিছড়া চা বাগানে কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত চা শ্রমিক পরিবারের ২৬৫ জন শিশুর মাঝে খাদ্য সামগ্রীসহ স্বাস্থ্য সু-রক্ষার উপকরণ বিতরণ করা হয়।

বুধবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে মধ্য ও দক্ষিণ বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্প পালকিছড়ার আয়োজনে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব বিতরণ করেন কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী।

মধ্য ও দক্ষিণ বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্প পালকিছড়ার আহ্বায়ক রেভা: জন ব্রাইট গাজীর সভাপতিত্বে ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক শ্যামুয়েল রোকন মল্লিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শরীফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুনাব আলী।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য গনেশ লাল গোয়ালা, ইউপি সদস্য সুকরা ভর, অগ্নেষ গমেজ, প্রভোধ রায় প্রমুখ। শিশুদের মাঝে বক্তব্য রাখে সুমন দাস ও ময়নামতি ভর।

খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সু-রক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি শরীফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুনাব আলী বলেন, এ প্রকল্পের কার্যক্রম দীর্ঘ দিন ধরে সুনামের সাথে পরিচালিত হচ্ছে।

প্রধান অতিথি কুলাউড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নয়নে চেষ্টা করে যাচ্ছে। তিনি বিশ্বাস করেন যে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা সমূহ এক হয়ে যেভাবে কাজ করছে তাতে ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। উপস্থিত শিশুদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন তোমরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। শীতকালে কোভিড-১৯ সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মা, শিশু ও প্রতিবেশীদের মাস্ক পরতে পরামর্শ প্রদান করেন। প্রকল্পে অবহেলিত অসহায় শিশুদের দায়িত্ব নেওয়া এবং শিশুদের পারিবারিক শিক্ষার গুরুত্ব আরোপ করেন। মা ও শিশুরা সমাজে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। তাদের প্রতি উদারতা ও মানবতা দেখানো এই বিশেষ কাজের জন্য তিনি প্রকল্পের সকলকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের জন্য যদি বিশেষ সুযোগ থাকে তার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে প্রতিটি শিশুকে ১৪ কেজি করে চাল, দেড় কেজি মুসুর ডাল, আধা লিটার, ৪ কেজি আলু,১টি করে লাইফবয় সাবান, ১টি হুইল সাবান, ৮টি মাস্ক ও ১টি ব্যাগ প্রদান করা হয়।