কোম্পানীগঞ্জে গ্রেফতারের পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবক নিহত

প্রকাশিত: ১:০৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯

কোম্পানীগঞ্জে গ্রেফতারের পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবক নিহত

ডেস্ক::  নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে শাহাদাত হোসেন স্বপন (৩৯) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।

পুলিশের দাবি, নিহত স্বপন আন্তঃজেলা (চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নোয়াখালী) ডাকাত দলের সর্দার। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ২৩টি মামলা রয়েছে। স্বপন উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বামনী বাজার এলাকার বেলায়েত হোসেনের ছেলে।

রোববার রাত ৩টার দিকে মুছাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ছোটধলী গ্রামের বেড়িবাঁধের ওপর এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার শাহাদাত হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরে জিজ্ঞাসাবাদের তিনি স্বীকার করেন সহযোগীরা ছোটধলী এলাকায় তার জন্য অপেক্ষা করছেন, তিনি গেলে ডাকাতি করা হবে।

এমন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় শাহাদাতকে সঙ্গে নিয়ে ছোটধলী এলাকার বেড়িবাঁধের ওপর যৌথ অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শাহাদাতের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টাপাল্টি গুলি ছুড়লে উভয়পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

এ সময় শাহাদাত গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই আনোয়ার, কনস্টেবল শরিফ, আলা উদ্দিন, খোরশেদ, আরিফ ও ডিবি কনস্টেবল আবদুল মালেক।

ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, ৯ রাউন্ড কার্টুজ, দুটি কিরিছ, দুটি ছোরা, একটি শাবল, একটি রড ও একটি লোহার পাতল উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত নোয়াখালীর কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, সেনবাগসহ বিভিন্ন জেলায় ডাকাতির ঘটনার নেতৃত্ব দিতেন ডাকাত সর্দার শাহাদাত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ২৩টি মামলা রয়েছে।