সিলেট ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:০৯ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০১৭
রাজনৈতিকভাবে তাকে শেষ করে দেয়ার জন্য নির্বাচনের আগেই দুর্নীতির মামলায় তাকে শাস্তি দেয়া হতে পারে এবং তাকে নির্বাচনের আগে অযোগ্য ঘোষণা করা হতে পারে। তার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান রাজনৈতিকভাবে মাতার উত্তরসূরি। এই মুহূর্তে দেশ ছেড়ে বিদেশে থাকতে তিনি বাধ্য হচ্ছেন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও ফৌজদারী মামলা রয়েছে। এসবের মধ্যে এক বা একাধিক মামলায় তাকে শাস্তি দিয়ে তাকেও নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করা হতে পারে। ইকোনমিস্টের ঐ ভাষ্যে বলা হয়, চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই যুদ্ধাপরাধ মামলার সমাপ্তি টানতে চায় সরকার। পত্রিকাটির মতে ধারণা করা হচ্ছে যে, বছর শেষ হওয়ার আগেই অভিযুক্তদের দন্ডিত করা হতে পারে।
ইকোনমিস্টের এই ভাষ্যের শিরোনাম, ‘দি বেগমস এবং দি টু জায়ান্টাস’। ভাষ্যে বলা হয়েছে গত বছর বেগম জিয়া গণচীন এবং ভারত সফর করেন। এই দু’টি সফর খুব ফলপ্রসূ হয়েছে বলে বিএনপির সমর্থকরা মনে করেন। আওয়ামী লীগ তার স্বভাব অনুযায়ী এসব সফরকে ঠাট্টা ও মসকরা করছে। বেগম জিয়ার গণচীন সফরের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এই যে, তার সাথে সেই দিন যে চীনা নেতার সংলাপ হয় তার নাম জি জিনপিং। তখন তিনি ছিলেন চীনের ২ নম্বর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। এখন তিনি গণচীনের প্রধান নেতা।
মি. জি জিনপিং সেদিন চীনা কমিউনিস্ট পার্টি এবং বিএনপি’র মধ্যে ফলপ্রসূ ও কার্যকর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ওয়াদা করেন। এখন তিনি চীনের ১ নম্বর ব্যক্তি। আগামীতে বেগম খালেদা জিয়া যদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তাহলে বিশ্বের দুই নম্বর পরাশক্তির সাথে বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের ফলপ্রসূ ও কার্যকর সম্পর্ক স্থাপিত হবে। ঢাকায় অবস্থানরত পশ্চিমা কূটনীতিকরাও এমনটি ধারণা করছেন বলে ইকোনমিস্ট জানিয়েছে।
চীনের সাথে বিএনপির সম্পর্ক এবং চীনের সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্কটাকে এক পাল্লায় মাপা যায় না বলে পত্রিকাটি মনে করে। ইকোনমিস্ট রিপোর্ট করছে যে, ১৯৭৫ সালে ক্ষমতার পালা বদল হওয়া পর্যন্ত গণচীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। তখন গণচীন ছিল পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র। পত্রিকাটি বলছে যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভারত উপকারী ধাত্রীর ভূমিকা পালন করেছে।
কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে সেই একই ভারত বাংলাদেশকে ‘শয়তানের সৎমা’ হিসেবে বিবেচনা করছে। ভারত বাংলাদেশকে অবজ্ঞা করছে এবং তার সাথে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছে। পত্রিকাটির প্রশ্ন, আগামীদিনে বাংলাদেশের সাথে যদি চীনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয় তাহলেও কি ভারত তার এই অবজ্ঞাপূর্ণ ও স্বেচ্ছাচারী ভূমিকা অব্যাহত রাখবে? বঙ্গোপসাগরের তীরে বাংলাদেশের অবস্থানকে ভৌগোলিকভাবে স্ট্র্যাটেজিক বলে মনে করে দি ইকোনমিস্ট। বাংলাদেশের এই স্ট্র্যাটেজিক ভৌগোলিক অবস্থানকে কাজে লাগাতে চাইবেন খালেদা জিয়া।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
(পরিচালক)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ আম্বিয়া পাভেল
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের কর্তৃক ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা (লিফটের-৮), জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে প্রকাশিত। ( শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের দুইটি প্রতিষ্ঠান দৈনিক সিলেটের দিনকাল ও সিলনিউজবিডি ডট কম)
office: Anamika-34. Purbo Shahi Eidgah, Sylhet 3100.
ইমেইল : pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Facebook
মোবাইল: +8801712540420
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি