খেলাফত মজলিস নেতার ভাইকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ৮:৫৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০২১

খেলাফত মজলিস নেতার ভাইকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

দিনকাল ডেস্ক ::সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার ইউনিয়ন খেলাফত মজলিসের সাবেক অর্থ সম্পাদক শেখ কবির আহমদ মিলাদের ছোট ভাইকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া যুবকের নাম শেখ দেলওয়ার আহমদ জিহাদ (২০)। তিনি মোগলাবাজার ইউনিয়নের রায়বান গ্রামের শেখ ফুল মিয়ার ছোট ছেলে।

গত ২ এপ্রিল (শুক্রবার) দিবাগত রাতে খেলাফত মজলিস নেতার নানার বাড়ি ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কঠালপুরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে শেখ দেলওয়ার আহমদ জিহাদকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে আর তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে অজ্ঞাত স্থানে গুম করে রাখা হয়েছে।

খেলাফত মজলিস নেতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে মোগলাবাজার ইউনিয়ন খেলাফত মজলিসের সাবেক অর্থ সম্পাদক শেখ কবির আহমদ মিলাদের নানার বাড়িতে একদল ব্যক্তি ঘরের দরজা খুলতে বলে। পরিচয় জানতে চাইলে তারা তাদের ডিবি পুলিশ বলে পরিচয় দেয়। এরপর নানার বাড়ির লোকজন ঘরের দরজা খুলে দেন। তারা ঘরে ঢুকে মোগলাবাজার ইউনিয়ন খেলাফত মজলিসের সাবেক অর্থ সম্পাদক শেখ কবির আহমদ মিলাদকে খুঁজতে থাকে। তাকে খোঁজার জন্য তারা বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি করে। কিছুক্ষণ পর তাকে না পেয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারীরা নিজেদের মধ্যে কি আলাপ-আলোচনা করে। এরপর তারা খেলাফত মজলিস নেতার ভাই দেলওয়ার আহমদ জিহাদকে তাদের সাথে যেতে বলে। তিনি যেতে প্রথমে আপত্তি জানালে তারা জোর করে অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। এসময় তারা তাদের একটি মুঠোফোন নম্বর দিয়ে সিলেটে যোগাযোগ করতে বলে। তারা যাওয়ার পর এই নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টি দ্রুত তারা স্থানীয় থানাকে অবগত করেন। থানা পুলিশ বিষয়টি দেখবে বলে আশ্বাস দিয়ে তাদের বিদায় করেন।

জানতে চাইলে মোগলাবাজার ইউনিয়ন খেলাফত মজলিসের সাবেক অর্থ সম্পাদক শেখ কবির আহমদ মিলাদের পরিবার জানান, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে জিম্মি করে তুলে নিয়ে শেখ দেলওয়ার আহমদ জিহাদকে গুম করা হয়। এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। তার ফোন নম্বরটি বন্ধ আছে। সে জীবিত আছে কি-না তারা বলতে পারছেন না।

পরিবার আরও জানায়, এলাকার একটি প্রভাবশালী গ্রুপ ও রাজনৈতিক দলের সাথে তাদের পূর্ব বিরোধ রয়েছে। তারা ধারণা করছেন পূর্ব শত্রুতার জেরে তাদের ছেলেকে কেউ গুম করে রেখেছে।

ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।’

 

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল