গোলাপগঞ্জে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টায় মামলা নিচ্ছেনা পুলিশ

প্রকাশিত: ১:৪৩ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৪, ২০১৯

গোলাপগঞ্জে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টায় মামলা নিচ্ছেনা পুলিশ

গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি  : গোলাপগঞ্জের শরীফগঞ্জে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় মামলা এখনো মামলা নেয়নি পুলিশ। অভিযোগ দাখিলের ২দিন অতিবাহিত হলেও এখন কোন আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভিকটিমের পরিবারের লোকজন শঙ্কা, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত বখাটে শান্ত দাস (২৫) প্রকাশ্যে বাড়িতে অবস্থান করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।

ভিকটিমের পিতা খটু মিয়া সাংবাদিকদের বলেন,  ঘটনাটি অন্যদিকে প্রভাবিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে একটি মহল। ইতিমধ্যে তারা গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগও দায়ের করেছে।  আমরা মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতিও।দেখাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা, কুশিয়ারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য মুরাদ উল্লাহ বাহার বলেন, তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। দুটি অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। পুলিশের তদন্ত চলছে।

শরীফগঞ্জ ইউপির চেয়ার এমএ মুহিত হিরা জানান, ঘটনাটি প্রেম সংক্রান্ত। আমরা স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করছি।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ কান্ত নাথ বলেন, এ ঘটনা দুটি।অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আমরা যা পাবো সেই আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

অভিযোগের এজাহার সূত্রে জানা যায়,  গত বুধবার ( ২০মার্চ  রাত ৮টার দিকে উপজেলার শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের খাটখাই গ্রামের কটু মিয়ার ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে (১৫) পাশ্ববর্তী চাচার ঘরে যেতে চাইলে একই ইউনিয়নের শেখপুর গ্রামের যতিন্দ্র দাসের পুত্র শান্ত দাস (২৫), খাটখাই গ্রামের শফিক মিয়ার পুত্র ললই মিয়া(৩২) ও অজ্ঞাত আরো ২/৩ ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক পার্শ্ববর্তী কুশিয়ারা তীরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় ভিকটিমের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় শান্ত দাস আহত হয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল