জমিতে নির্মাণ সামগ্রী রাখা নিয়ে সংঘর্ষে প্রাণ গেল যুবকের

প্রকাশিত: ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২২

জমিতে নির্মাণ সামগ্রী রাখা নিয়ে সংঘর্ষে প্রাণ গেল যুবকের

বড়লেখা প্রতিনিধি: পূর্ব বিরোধ ও জমিতে নির্মাণ সামগ্রী রাখা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরী (৩৫) নামের এক যুবক খুন হয়েছেন।

গত সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের পূর্ব গগড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।জমিতে নির্মাণ সামগ্রী রাখাকে কেন্দ্র করে এলাকার বাসিন্দা কার্তিক চন্দ্র দাসদের সাথে নিহত সেলিম চৌধুরীদের এ সংঘর্ষে হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। তারা সকলেই স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এদিকে সংঘর্ষে সেলিম চৌধুরী নিহতের ঘটনায় তার স্বজনেরা বিকেলে কার্তিক চন্দ্র দাসের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

অপরদিকে সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাতেই নিহত সেলিম চৌধুরীর ভাই মোহাম্মদ হিরণ চৌধুরী বাদী হয়ে কার্তিক চন্দ্র দাসের বড় ছেলে পাপ্পু রঞ্জন দাসকে প্রধান আসামি করে বড়লেখা থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেছেন।

মামলার আসামিরা হচ্ছেন- পূর্ব গগড়া গ্রামের কার্তিক চন্দ্র দাসের ছেলে পাপ্পু রঞ্জন দাস (২৩) ও অপু লাল দাস (১৯), মৃত নরেশ চন্দ্র দাসের ছেলে কার্তিক চন্দ্র দাস (৫১), পশ্চিম গগড়া গ্রামের মৃত দ্বিগেশ চন্দ্র দাসের ছেলে অরুণ চন্দ্র দাস (৫২),পূর্ব গগড়া গ্রামের মৃত রমেশ চন্দ্র দাসের ছেলে বিরেশ চন্দ্র দাস (৪০) ও কোনার গগড়া গ্রামের শ্রীকান্ত দাসের ছেলে ভিবাষ চন্দ্র দাস (৩৩)।

স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব গগড়া গ্রামের কার্তিক চন্দ্র দাস ও তার ভাই শ্রীবাস দাসদের সাথে নিহত সেলিম চৌধুরীর ভাই মোহাম্মদ হিরণ চৌধুরীদের দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কার্তিক দাসদের বাধা সৃষ্টি করার অভিযোগ ওঠছে হিরণ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এরমধ্যে একদিন দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা কার্তিক চন্দ্র দাস ও তার ভাই শ্রীবাস দাসের কৃষি জমিতে গৃহ নির্মাণের সামগ্রী রাখতে শুর করে হিরণ চৌধুরী। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। গত ১৭ অক্টোবর কার্তিক চন্দ্র দাস তার ছেলে পাপ্পু রঞ্জন দাস ও অপু লাল দাসসহ কয়েকজনকে নিয়ে নিজের জমি থেকে গৃহ নির্মাণের সামগ্রী সরাতে যান। এতে হিরণ চৌধুরী ও তার স্বজন মিলে কার্তিক দাসদের প্রথমে বাধা দেয় ও পরে তাদের উপর হামলা চালায়। এ নিয়ে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সেলিম চৌধুরী পড়ে গিয়ে জমিতে রাখা রডের বিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এরমধ্যে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার স্বজনেরা বিকেলে কার্তিক চন্দ্র দাসের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট করে।

এ ঘটনায় ৬ জনের নামে মামলার বিষয় নিশ্চিত করে বড়লেখা থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, মামলার এজাহার নামীয় আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান চলছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল