জ্বরের ঘোর আর ঘুম ভেঙ্গে চোঁখ খুলি…..

প্রকাশিত: ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২২

জ্বরের ঘোর আর ঘুম ভেঙ্গে চোঁখ খুলি…..

জ্বরের ঘোর আর ঘুম ভেঙ্গে চোঁখ খুলি…..

পীর মিসবাহ এমপি

ডিসেম্বরের তীব্র শীত। ভোর রাতে লেপ গায়ে শুয়ে আছি।ট্রেনের হুইসেল শুনা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশনে।

জ্বরের ঘোর আর ঘুম ভেঙ্গে চোঁখ খুলি। না।এটি শের-ই বাংলা হলের পশ্চিম ৩৯ নম্বর রুম না।খাটের পাশে পড়ার টেবিল নেই। আর টেবিলের পরে জানালা নেই।মতিহার হল দেখা যাচ্ছেনা।বাসার বেডেই লেপ গায়ে আছি।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে শহীদ স্নৃতি সংগ্রহশালার বারান্দা।রাতের বেলা আমি, টফি,লাল্টু,মেহেদী বসে আছি।রাতে খুব গরম।শরীর ভিজে যাচ্ছে ঘামে।ঘুম আর ঘোর লাগা কেটে গেছে।সচেতন হই।বাসার বিছানায় শুয়ে ঘামছি।বালিশ,গায়ের টি শার্ট ভিজে যাচ্ছে।জ্বর কমছে।

জ্বরের ঘোর লাগা অবস্থায় মানুষ কি অতীতে চলে যায়?জীবনের ছোট ছোট ভাললাগা প্রিয় মুহুর্ত ফিরে আসে । জীবন্ত লাগে।বাস্তব মনে হয়।আহারে সময়!ফেলে আসা প্রিয় মুহুর্তে যাওয়া হয়না।

দুদিন থেকে জ্বরের সাথে আছি।সামনে কাজ অনেক। জ্বর বিদায় হওয়া দরকার।যদিও প্রিয় স্মৃতিতে নিয়ে যায় মাঝে মাঝে।তীব্র শীতের ভোর রাতে লেপের নীচে শুয়ে থেকে ট্রেনের হুইসেল বড় প্রিয় ছিল।শহীদ মিনারের সামনে রাতের আড্ডাও দারুণ ছিল।
তবুও জ্বরের বিদায় দরকার।কোভিড টেস্ট এর রেজাল্ট ও পাবার কথা।

কয়েকদিন খুব ঘুরেছি।হাওরের বাঁধে। গ্রামে-বাজারে বিভিন্ন ইস্যুতে।

শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে সমাবেশ করেছি।স্থানীয় দাবী আর বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে। ট্রাফিক পয়েন্ট স্নরণকালের বৃহৎ গণসমাবেশে রূপ নিয়েছিল মানুষের উপস্থিতিতে।

রোদ,ধুলা,টানা কর্মসূচি শরীরে মেনে নেয়নি।জ্বর সুযোগ নিয়েছে।দ্রুত সুস্থতা প্রয়োজন।আল্লাহ সহায়।

১৮.০৩.২১

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল