টানা চার হারের পর জয়ে ফিরল সিলেট থান্ডার

প্রকাশিত: ৫:৪৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯

টানা চার হারের পর জয়ে ফিরল সিলেট থান্ডার

স্পোর্টস ডেস্ক:
খুলনা টাইগার্সের টানা তিন জয়, সিলেট থান্ডারের টানা হার চারটি। দুই দল বিপরীত মেরুতে। মুখোমুখি লড়াইয়ে তাই খুলনা টাইগার্সকে ফেবারিট মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে আজ (শনিবার) সবাইকে চমকে দিলো সিলেট থান্ডার। মুশফিকুর রহীমের খুলনাকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়ে এবারের বিপিএলে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে মোসাদ্দেক হোসেনের সিলেট থান্ডার। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচটি তারা জিতেছে ৮০ রানের বড় ব্যবধানে।

২৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই খুলনা হারিয়ে বসে রহমানুল্লাহ গুরবাজকে। তবে সেই ধাক্কা সামলে ওঠেছিলেন সাইফ হাসান আর রাইলি রুশো। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৪ রানের জুটি গড়েন তারা। এর মধ্যে মূল অবদান ছিল রুশোরই। সাইফ ২০ বলে ২০ রান করে ফিরলে ভাঙে এই জুটি।

এরপর ৩২ বলে ৪টি করে চার ছক্কায় ৫২ রান করা রুশো সাজঘরের পথ ধরার পরই যেন মরক শুরু হয় খুলনার। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম ৮ বলে ১২ রান করেন। পরের দিকে পরাজয়ের ব্যবধানটাই যা একটু কমিয়েছেন রবি ফ্রাইলিংক। ২০ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন এই প্রোটিয়া অলরাউন্ডার। ১৮.৩ ওভারে খুলনা অলআউট হয় ১৫২ রানে।

সিলেটের পক্ষে ৩টি উইকেট নেন ক্রিসমার সান্তোকি। ২টি করে উইকেট শিকার মনির হোসেন আর এবাদত হোসেনের। এর আগে জনসন চার্লস আর আন্দ্রে ফ্লেচারের ব্যাটে চড়ে ৫ উইকেটে ২৩২ রানের পাহাড় গড়ে সিলেট থান্ডার। এটি চলতি বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। গতকাল (শুক্রবার) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের করা ২৩৮ রান এখন পর্যন্ত এই আসরের সর্বোচ্চ।

অথচ টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল সিলেট। রবি ফ্রাইলিংকের করা প্রথম ওভারের শেষ বলে আবদুল মজিদ ফিরে যান মাত্র ২ রানে। তবে দ্বিতীয় উইকেটে দাঁড়িয়ে খুলনার বোলারদের চোখের পানি নাকের পানি এক করে ছাড়েন চার্লস আর ফ্লেচার।

এই জুটিতে তারা যোগ করেন ১৫০ রান। শহিদুল ইসলামের এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে চার্লস ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ৩৮ বলে ৯০ রানের ইনিংসে ক্যারিবীয় এই ব্যাটসম্যান ১১টি চার আর ৫টি ছক্কা হাঁকান।

এরপর মোহাম্মদ মিঠুন (৩ বলে ৩), মোসাদ্দেক হোসেন (১১ বলে ১১), নাজমুল হোসেন মিলনরা (৬ বলে ১১) দলের জন্য বড় কিছু করতে পারেননি। কিন্তু উইকেটে তো ছিলেন বিধ্বংসী ফ্লেচার। তিনিই বাকি সময়টায় তাণ্ডব চালিয়ে গেছেন।

এবারের বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হওয়ার রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন ফ্লেচার। ৫৭ বলে ১১ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ১০৩ রানে। খুলনার পক্ষে ৪ ওভারে ৩৭ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন রবি ফ্রাইলিংক। একটি করে উইকেট শফিউল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম আর রবিউল হকের।

সুবেদ-২১/১২/১৯

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল