অনলাইন ডেস্ক :::
প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজেকে ক্ষমা করা যাবে কিনা; সম্প্রতি সেই সম্ভাব্যতা নিয়ে আইনজীবী ও পরামর্শকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মধ্যে যাদের বিভিন্ন অভিযোগে সাজা হয়েছিল, তাদের অনেককেই মেয়াদের শেষ বেলায় এসে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি। এবার তিনি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন কিনা; তা নিয়ে পরামর্শ চালিয়ে যাচ্ছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, তবে ট্রাম্প যদি সত্যিই নিজেকে ক্ষমা করেন, তবে তা হবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের ক্ষমতার অস্বাভাবিক ব্যবহার। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

গত ৩ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের কাছে হেরে গেছেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। আর মাত্র ১৩ দিন পর হোয়াইট হাউস ছাড়তে হবে তাকে।

এর আগে নিউইয়র্ক টাইমস খবর দিয়েছে, নভেম্বরের নির্বাচনের পর থেকে নিজেকে ক্ষমা করা নিয়ে সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ট্রাম্প।

খবরে বলা হয়, নির্বাচনের দিন থেকে বিভিন্ন আলোচনায় নিজেকে ক্ষমা করার বিষয়ে ভাবছেন বলে উপদেষ্টাদের জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নিজেকে তার এই ক্ষমা করা উচিত হবে কিনা; বা ক্ষমা করলে আইনগত এবং রাজনৈতিকভাবে তার ওপর কী প্রভাব পড়বে; তা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি।

কিন্তু বুধবারে ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গার পর এ বিষয়ে ট্রাম্প আর কোনো আলোচনা করেছেন কিনা; তা নিশ্চিত হতে পারেনি নিউইয়র্ক টাইমস।

আইনগতভাবে একজন প্রেসিডেন্ট নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন কিনা; তার নির্দিষ্ট কোনো জবাব নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির সংবিধান বিষয়ক আইনজীবীরা। এর আগে কোনো প্রেসিডেন্টই এমন কোনো চেষ্টা করেননি; কাজেই আদালতকেও এ নিয়ে আলাদাভাবে ভাবতে হয়নি।

মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির সাংবিধানিক আইনের অধ্যাপক ব্রিয়ান কাল্ট বলেন, একজন প্রেসিডেন্ট নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন কিনা; এ নিয়ে লোকজন যখন আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, আমার সর্বদা সহজ জবাব: ‘ভালো, তিনি চেষ্টা করতে পারেন’।

এ নিয়ে মার্কিন সংবিধানে পরিষ্কার কোনো জবাব নেই বলেও মন্তব্য করেন এই আইনবিশেষজ্ঞ। তবে কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ এটিকে অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেছেন। কারণ কোনো ব্যক্তিই তার নিজের মামলার বিচারক হতে পারেন না।