দেশে ঈদের পর করোনা সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেতে পারে

প্রকাশিত: ৯:৫২ অপরাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০২০

দেশে ঈদের পর করোনা সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেতে পারে
  • অনলাইন ডেস্ক

পবিত্র ঈদুল আজহার পর দেশে মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত দেশ সর্বোচ্চ সংক্রমণের হার শতকরা ২৫ ভাগ। গত কিছুদিন ধরে আক্রান্ত হার শতকরা ২২ থেকে ২৫ এর মধ্যে ওঠা-নামা করছে। কিন্তু এ চিত্র একেবারে পাল্টে যেতে পারে ঈদের পর।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঈদে ধর্মীয়, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম বেড়ে যাবে। ঈদে প্রচুর মানুষ শহর থেকে গ্রামে যাবে। আবার ফিরবে। যানবাহনে লোকজনের চলাচল বাড়বে। পশুর হাট বসছে। লোকজনের সমাগম হচ্ছে। ঈদের যাবতীয় কেনাকাটা চলছে। ধর্মীয় এবং সামাজিক এসব কার্যক্রমকে আবার নিয়ন্ত্রণও করা কঠিন। এক্ষেত্রে আশঙ্কা করা হচ্ছে ঈদের পর সংক্রমণ আরও অনেক বেড়ে যাবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, কোরবানির ঈদের পর আমরা দেখব দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার কত। আমার মনে হয়, ঈদের ১৫ দিন পরই করোনা ভাইরাসের সর্বোচ্চ সংক্রমণ হবে।

তিনি বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে গার্মেন্টস কারখানা খুলে দেওয়া, গণপরিবহন চালু, লঞ্চ-ফেরীতে ঠাসাঠাসি করে গ্রামে যাওয়া-আসা, রোজার ঈদ উদযাপন ও দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। এসব খুলে দেওয়ার পর আমাদের সর্বোচ্চ সংক্রমণ ছিল শতকরা ২৫ ভাগ। কিন্তু ঈদের পর করোনা ভাইরাসের বর্তমান চিত্র পাল্টে যেতে পারে। সেই চিত্র এবং সংক্রমণের হার দেখে আমরা বুঝতে পারব কী হতে পারে। সেই চিত্র দেখার পর আমাদের কৌশল গ্রহণ করতে হবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে।

বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে করণীয় বিষয়ে তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে আমাদের সামাজিক অংশগ্রহণ নেই। সমাজের প্রতিটা স্তরের মানুষের অংশগ্রহণ ছাড়া করোনা রোধ করা কঠিন। বিভিন্ন ওয়ার্ডের পাড়া-মহল্লার ক্লাব, ওয়ার্ড কমিশনার, ছাত্র, যুবক, স্বেচ্ছাসেবক, স্থানীয় মুরব্বি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আছেন। সবার সমন্বয়ে যদি করোনা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করে কাজ করা যায়, তাহলে সেটা বেশি কার্যকর হবে। আমরা যদি নিজেরা উদ্যোগী না হই, তাহলে আইন প্রয়োগ করেও খুব বেশি সফলতা আসবে না। আমরা কিন্তু সামাজিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিইনি। আমরা যদি সমাজের সবাইকে সম্পৃক্ত করে সম্মিলিতভাবে প্রচার-প্রচারণা এবং যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারি, তাহলে সেটার ফলাফল অনেক ভালো হবে।

বর্তমান করোনা প্রতিরোধ কৌশলের সমালোচনা করে প্রখ্যাত এ ভাইরোলিজস্ট বলেন, বর্তমানে আমাদের কৌশল হচ্ছে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার মতো। আমার গায়ে কাদা লাগবে না, পানিও লাগবে না। কিন্তু মাছ পেয়ে যাব। এই কৌশলে আমাদের করোনা প্রতিরোধ হবে না। আমাদের কৌশলের পরিবর্তন করতে হবে। বড়শির পরিবর্তে জালের কৌশল গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই সফলতা আসবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল