নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারল বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ৪:২৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক: ক্রাইস্টচার্চে ৭৭ রানে হারের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ টানা ওয়ানডে হারল ৬৭ রানে। নেলসনে বৃহস্পতিবার ম্যাচটি জিতে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ তে নিশ্চিত করল নিউজিল্যান্ড।

ইমরুল কায়েসের হাফসেঞ্চুরি ও সাব্বির রহমানের ব্যাটে ভালো সম্ভাবনাই জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ৭৫ রানের জুটিটি ভাঙতেই বিপদে পড়েছে সফরকারীরা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২৫২ রানের লক্ষ্যে নেমে ৭৯ রানের ব্যবধানে শেষ ৯ উইকেট হারিয়েছে তারা। ওভারে ১৮৪ রান তুলতেই সব উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

লক্ষ্যে নেমে দলীয় ৩০ রানে ওপেনার তামিম ইকবাল সাজঘরে ফিরলে ইমরুল ও সাব্বিরের ব্যাটে ঝলক দেখা যায়। দারুণভাবে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন তারা। আর কোনও উইকেট না হারিয়ে দলীয় শতক পার করেন দ্বিতীয় উইকেটের এ জুটি। কিন্তু একটি ভুল বোঝাবুঝিতে সাব্বির ৩৮ রানে আউট হলে ভেঙে পড়ে সফরকারীদের ব্যাটিং লাইন। ক্যারিয়ারের ১৩তম হাফ সেঞ্চুরি করে আশার আলো হয়ে ছিলেন ইমরুল। কিন্তু তিনি অর্ধশতকের ইনিংসকে খুব বেশি লম্বা করতে পারেননি। ইমরুল ৫৯ রানে আউট হওয়ার আগে মাহমুদউল্লাহ, সাকিব আল হাসান ও মোসাদ্দেক হোসেন ব্যাটিং ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কেউ দুই অঙ্কের ঘরে রান করতে পারেননি। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন সুবিধা করতে দেননি। তিনটি উইকেট তুলে নেন তিনি বল হাতে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় ভোরে টসে জিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মাশরাফির সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল সেটা বোঝা গেলো কিছু মুহূর্ত পরেই।

নেলসনে খুব ভালোভাবেই কিউইদের চেপে ধরেছে মাশরাফিরা। শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলাররা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে পেরেছে। মাঝে অবশ্য নাইল ব্রুম চতু্র্থ উইকেটে জেমস নিশামের সঙ্গে ৫১ ও ষষ্ঠ উইকেটে লুক রঞ্চির সঙ্গে ৬৪ রানের জুটি না বাঁধলে অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত নাইল ব্রুমের সেঞ্চুরিতেই লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারে কিউইরা।

ইনিংসের প্রথম ওভারে মাশরাফি কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিলকে ফিরিয়ে শুভ সূচনা করেন। শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান টম ল্যাথাম ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তখনই আঘাত হানেন গতি তারকা তাসকিন আহমেদ। উইলিয়ামসকে ব্যক্তিগত ১৪ রানে সাকিবের তালুবন্দী করে সাজঘরের পথ ধরান। সঙ্গী হারিয়ে সাকিবের বলে ফিরে যান ল্যাথামও। তিনি ২২ রান করে সাকিবের ঘূর্ণিতে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন।

ততক্ষণে অবশ্য ক্রিজে নেমে পড়েন ব্রুম। বৃহস্পতিবার তার ব্যাট না হাসলে বিপদই ছিল কিউইদের। শেষ পর্যন্ত ব্রুম ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন। চতুর্থ ও ষষ্ঠ উইকেটে ৫০ ছাড়ানো দুটি জুটির পাশাপাশি বেশ কিছু ছোটখাটো জুটি গড়েন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। এটা ব্রুমের ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি।

কিউই অন্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে লুক রঞ্চি ৩৫, জেমস নিশাম ২৮ ও টম ল্যাথাম ২২ রান করেছেন।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনি ৪৯ রান খরচ করে তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া তাসকিন আহমেদ ও সাকিব আল হাসান প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। অভিষিক্ত পেসার শুভাষিশ ও স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল