পদ স্থগিত এক নেতার মুক্তি দাবি করে শোকজ পেলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারি, কিন্তু কেন?

প্রকাশিত: ৭:০৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫

পদ স্থগিত এক নেতার মুক্তি দাবি করে শোকজ পেলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারি, কিন্তু কেন?

পদ স্থগিত এক নেতার মুক্তি দাবি করে শোকজ পেলেন
উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারি, কিন্তু কেন?

রাজু আহমেদ

 

না তারা কোন অপরাধ করেননি। দীর্ঘ ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে যে নেতা দলকে সংগঠিত করে রেখেছিলেন। সাদা পাথর লুটপাটের অপবাদে তিনি এখন জেলে। ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি। কোন আদালত কর্তৃক দোষী সাইবস্ত হননি এখনো। তার পরেও তার দল বিএনপি এই নেতার সভাপতির পদ স্থগিত রেখেছে। আর এই সুযোগে তাকে বলির পাঠা বানিয়েছেন প্রশাসন। সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। হাতকড়া পরানো হয়েছে তার হাতে। সেই নির্যাতিত নেতা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন এর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন উপজেলা বিএনপি’র বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক। যে কেউ যে কারো মুক্তি দাবি করতেই পারে। এটা তাদের নাগরিক অধিকার। দল কখনো গণতন্ত্রের উর্ধ্বে নয়। আর গণতন্ত্র মানে হচ্ছে সবার সমান অধিকার। সেই অধিকার চর্চার প্রেক্ষিতেই বিবেকের তাড়নায় উপজেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের দীর্ঘদিনের সহকর্মী জনাব সাহাবুদ্দিনের মুক্তির দাবি জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। হ্যাঁ বিবৃতি তারা দিতেই পারেন। কারণ শাহাবুদ্দিনকে এখনো দল থেকে বহিষ্কার করা হয়নি। তিন মাসের জন্য তার পদ স্থগিত করা হয়েছে। সঙ্গত কারণেই তিনি এখনো বিএনপি নেতা। আর একজন নেতার মুক্তি দাবি কোন অপরাধ নয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল