২২শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৫৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে রেলওয়ের ভুমিতে চলছে লাইসেন্স বিহীন অবৈধ করাত কল। অবৈধভাবে করাতকলটি স্থাপন করেছেন জনৈক লতিফ খান। বনবিভাগ বিগত ৮ বছর ধরে বন্ধের নোটিশ দিলেও তিনি তা বন্ধ না করে রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছেন। ২০ অক্টোবর অবৈধ করাতকলে এলাকাবাসীর, পরিবেশের ও বনাঞ্চলের ক্ষতিসাধনের একটি অভিযোগ তদন্ত করেছেন বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক জিএম আবু বক্কর সিদ্দিক ।
জানা গেছে, জুড়ী উপজেলার হামিদপুর গ্রামের লতিফ খান ২০১২ সালে মানিকসিং বাজারে রেলব্রীজ সংলগ্ন রেলওয়ের ভুমিতে অবৈধ স-মিল স্থাপন করেন। লাইসেন্সের আবেদন করলে করাতকল লাইসেন্স বিধিমালা ২০১২ এর ৭(ক) ধারা অনুযায়ী স্থাপিত না হওয়ায় বনবিভাগ তাকে লাইসেন্স দেয়নি। বনবিভাগ বারবার করাতকল বন্ধের নোটিশ দিলেও লতিফ খান তা আমলে নেননি। ২০১৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী বন বিভাগের স্থানীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মোখলেসুর রহমান লাইসেন্স না দেয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে অবৈধ স্থাপিত স-মিলটি বন্ধের জন্য লতিফ খানকে চিঠি দেন। এরপরও বন্ধ হয়নি অবৈধ করাত কলটি।
চলিত বছরের ১৯ আগষ্ট স্থানীয় বাসিন্দা লুজু খান বিভাগীয় বন সংরক্ষক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সন্নিকটে লতিফ খান রেলওয়ের ভুমিতে অবৈধ করাতকল স্থাপন করায় এলাকার জনসাধারণের, পরিবেশের ও বনবিভাগের ক্ষতি সাধন করছেন।
বন বিভাগ সুত্র জানায়, বনবিভাগ লাইসেন্স না দেয়ায় তিনি ২০১২ সালে বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সরকারের ৫ পদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাহামান্য হাইকোর্টে রীট পিটিশন করেন। এ রীটের বলেই তিনি অবৈধ করাতকল চালাচ্ছেন।
অভিযোগকারী লুজু খান জানান, রীটের সংযুক্ত কাগজপত্রে লতিফ খান করাত কলের ভুয়া তফশিল বর্ণনা দিয়েছেন। যে দাগে করাত কলের অবস্থান দেখিয়েছেন তা সঠিক নয়। তিনি ভুল তথ্য দিয়ে আদালতের সাথে প্রতারণা করেছেন।
সহকারী বন সংরক্ষক জিএম আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, লতিফ খান লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে স-মিল চালাচ্ছিলেন। এটি বন্ধের জন্য বনবিভাগ লিখিতভাবে নোটিশ দিলে তিনি ২০১২ সালে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রীট করেন। সম্প্রতি বিভাগীয় বন সংরক্ষক বরাবরে স্থানীয় বাসিন্দা লুজু খান অভিযোগ করেন রেলওয়ের ভুমিতে স-মিলটি স্থাপিত। মহামান্য হাইকোর্টের রীটে লতিফ খান স-মিলের অবস্থানের যে দাগ, খতিয়ান উল্লেখ করেছেন তা সঠিক নয়। মুলত মহামান্য আদালতকে বিভ্রান্ত করে তিনি অবৈধ স-মিল চালাচ্ছেন। এছাড়া স-মিলটি এলাকাবাসীর, পরিবেশের ও বনবিভাগের ক্ষতি সাধন করছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। তিনি সরেজমিনে দু’জন সার্ভেয়ার নিয়ে এ অভিযোগের তদন্ত করেছেন। ১/২ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবেন। উর্ধতন কর্তপক্ষ এব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
অভিযুক্ত লতিফ খান জানান, তিনি রেলওয়ের কৃষিলীজের ভুমিতে স-মিল স্থাপন করেছেন। বনবিভাগ লাইসেন্স না দেয়ায় হাইকোর্টে রীট করেছেন। রীটে উল্লেখিত দাগ-খতিয়ানেই (খতিয়ান ৩) তার স-মিলটি রয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ আম্বিয়া পাভেল
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের কর্তৃক ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা (লিফটের-৮), জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে প্রকাশিত। ( শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের দুইটি প্রতিষ্ঠান দৈনিক সিলেটের দিনকাল ও সিলনিউজবিডি ডট কম)
office: Anamika-34. Purbo Shahi Eidgah, Sylhet 3100.
ইমেইল : pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Facebook
মোবাইল: +8801712540420
Design and developed by M-W-D