ফিরে আসা দর্শকদের খুশি করে দিল লিভারপুল

প্রকাশিত: ৩:৫১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২০

ফিরে আসা দর্শকদের খুশি করে দিল লিভারপুল

খেলাধুলা :করোনাভাইরাস অনেক কিছুই কেড়ে নিয়েছে লিভারপুলের কাছ থেকে। সবচেয়ে বেশি কেড়েছে দীর্ঘ ৩০ বছর পর লিগ জেতার আনন্দ ঘরের মাঠে দর্শকদের সঙ্গে ভাগাভাগি করার সুবিধা। দর্শকহীন মাঠেই গত মৌসুম শেষে লিগ শিরোপা উৎসব করেছিল লিভারপুল। অবশেষে অ্যানফিল্ডে দর্শক আসার অনুমতি মিলেছে। কানায় কানায় ভর্তি না হলেও হাজার দুয়েক দর্শক তো ছিলই।আর সেই শক্তিতে লিভারপুল তারকারা যেন উজ্জীবিত ছিলেন। গত রাতে লিগে উলভারহ্যাম্পটনকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। জিতেই পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা। শীর্ষে থাকা টটেনহামের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান না থাকলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে। যে কারণে স্পার্সদের সমান ২৪ পয়েন্ট নিয়েও দুইয়ে লিভারপুল ম্যাচের শুরু থেকেই বেশ কর্তৃত্ব নিয়ে খেলা শুরু করে লিভারপুল। সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে খেলা দেখে কি না, মৌসুমের শুরুতে উলভস থেকে লিভারপুলে যোগ দেওয়া উইঙ্গার দিওগো জোতাকে মাঠে নামাননি ইয়ুর্গেন ক্লপ। তাতে সালাহ-মানে-ফিরমিনো ত্রয়ীর তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। তিনজনের দুজনই গোল পেয়েছেন, বাকি একজন যথারীতি আক্রমণের কলকাঠি নেড়েছেন দুর্দান্তভাবে। বলের দখলও লিভারপুলের কাছে বেশি ছিল, আক্রমণও তারা বেশি করেছে। তবে উলভস যে একদমই সুযোগ পায়নি, তা নয়। বেশ কয়েকবার লিভারপুলের রক্ষণে ভীতি ছড়িয়েছেন আদামা ত্রায়োরে, দানিয়েল পডেন্সরা।২৪ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন মোহাম্মদ সালাহ। মাঝমাঠ থেকে অধিনায়ক জর্ডান হেন্ডারসনের নিখুঁত লং বল প্রায় আটকেই দিয়েছিলেন উলভসের অধিনায়ক, সাবেক লিভারপুল ডিফেন্ডার কনর কোডি। বুক দিয়ে বলটা আয়ত্তে আনতে না আনতেই পেছনে ওত পেতে থাকা সালাহর পায়ে চলে যায় বল। সেখান থেকে ঠান্ডা মাথায় দলকে এগিয়ে দেন এই মিসরীয় তারকা।প্রথমার্ধের শেষ দিকে এই কোডির কল্যাণেই আরেকবার শোরগোল ওঠে মাঠে। নিজেদের বক্সে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে কোডিকে পায়ে লাথি মেরে ফেলে দিয়েছেন—এমন সন্দেহে উলভসকে পেনাল্টি দেন রেফারি। কিন্তু ভিএআরের সহায়তায় দেখা যায়, কোডির পায়ে যেন লাথি না লাগে, সে জন্য আগেই পা নামিয়ে ফেলেছিলেন। কোডি কোনো রকমের সংস্পর্শ ছাড়াই বক্সে পড়ে গেছেন। ফলে, পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বাতিল হয়ে যায়।দ্বিতীয়ার্ধে আরও ভয়ংকর রূপে দেখা মেলে লিভারপুলের। দুর্দান্ত এক প্রতি–আক্রমণে দলকে এগিয়ে দেন ডাচ্‌ তারকা জর্জিনিও ভাইনালডম। এর কিছুক্ষণ পরেই মোহাম্মদ সালাহর সহায়তায় গোল করেন ডিফেন্ডার জল মাতিপ। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট কাটিয়ে এই ম্যাচের মাধ্যমে ফিরে শেষ কয়েক মিনিট খেলা রাইটব্যাক ট্রেন্ট অ্যালেক্সান্ডার আরনল্ডের মাপা ক্রস সামলাতে না পেরে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন এই মৌসুমেই বার্সা থেকে উলভসে আসা নেলসন সেমেদো।
শেষমেশ চার গোলের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লিভারপুল। আর নিশ্চিত করে পয়েন্ট তালিকায় নিজেদের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসাটা। আপাততও শিরোপার লড়াইয়ে লিভারপুলের সবচেয়ে বড় ‘যুদ্ধ’ হচ্ছে শীর্ষে থাকা টটেনহাম ও তৃতীয় স্থানে থাকা চেলসির সঙ্গে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল