বিয়ানীবাজারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১০:৩৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১

বিয়ানীবাজারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি : বিয়ানীবাজার পৌরসভাস্থ দাসগ্রামে সংখ্যালুঘু হিন্দু ধর্মালম্বী দুলু চন্দ্র করের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। ৪/৫ জনের একদল সন্ত্রাসী তার উপর হামলা চালালে দৌড়ে পার্শ্ববর্তী বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে সে প্রাণে রক্ষা পায়। ৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় এই ঘটনাটি ঘটে। দুলু চন্দ্র কর (৪১) বিয়ানীবাজার পৌরসভার ফতেহপুর গ্রামের নির্মল কর এর পুত্র। এ ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতংক ও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
হামলার শিকার দুলু চন্দ্র কর জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টায় দাসগ্রামস্থ রাম কৃষ্ণ মন্দির থেকে পুঁজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ করে মুসলিম ধর্মালম্বী ৪/৫ জনের একদল যুবক তার পথরোধ করে। তারা হিন্দু ধর্ম নিয়ে নানা ভাবে বিদ্রুপ করে ও তাকে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ধর্মলম্বী হওয়ার জন্য জোড় জবরধস্তি করে। এ নিয়ে যুবক দলের সাথে দুুলু চন্দ্র কর এর বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায় তারা উত্তেজিত হয়ে তার উপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসী যুবকরা তাকে উপর্যপরি কিল ঘুষি লাথি মারতে তাকে। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয় দুলু চন্দ্র কর। এসময় সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে গেলে ঐ বাড়িতেই আহত দুলু চন্দ্র করকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। খবর পেয়ে তার পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে তারা আহত দুলু চন্দ্র করকে সাথে নিয়ে বিয়ানীবাজার থানায় গিয়ে বিষয়টি থানার অফিসার ইনচার্জকে অবগত করেন। এসময় দুলু চন্দ্র কর এর কাছে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের নাম পরিচয় জানতে চাইলে তিনি তাদের পরিচয় জানেন না বলে জানান। তাই থানার অফিসার ইনচার্জ এ বিষয়ে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে করে সংখ্যালুঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা বিষয়টির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। দুলু চন্দ্র করের উপর অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় স্থানীয় সংখ্যালুঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ হিল্লোল রায় বলেন, দুলু চন্দ্র কর এর উপর সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে তারা অভিযোগ নিয়ে থানায় এসেছিলেন। কিন্তু হামালাকারিদের নাম ঠিকানা বা কোন পরিচয় এমনকি কোন সাক্ষ্যও দিতে পারেননি। এ অবস্থায় বিষয়টি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা যায়নি, তবে থানায় জিডি করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল