মঈন খানের সেই ‘তিরস্কার’ হজম হয়নি ইউনিস খানের

প্রকাশিত: ৫:২৪ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০২১

মঈন খানের সেই ‘তিরস্কার’ হজম হয়নি ইউনিস খানের

স্পোর্টস ডেস্ক ::
পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ইউনিস খানকে কিংবদন্তি হিসেবে দেখেন অনেকে।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দেশের হয়ে ১৭ হাজার রান করেছেন তিনি, যা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ।

টেস্টে একটি ত্রিশতকও আছে তার। ভারত, বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আছে দ্বিশতক।

এমন দুর্দান্ত পারফরমারকেও ক্যারিয়ারে শুনতে হয়েছে বিষবাক্য। কোনো ম্যাচে শূন্য বা কম রানে আউট হয়ে গেলে অধিনায়ক ও জ্যেষ্ঠদের ধমক, তিরস্কার হজম করতে হয়েছে তাকে। বিশেষকরে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে এমনটা বেশি হয়েছে তার সঙ্গে।

তবে ২২ বছর আগের এক ম্যাচে অধিনায়ক মঈন খানের এক ‘তিরস্কার’হজম হয়নি ইউনিস খানের।

সম্প্রতি সেই ঘটনার স্মৃতিচারণ করলেন ইউনিস খান।

ইউনিস বলেন, ‘২০০০ সালের মার্চ মাসের কথা। পাকিস্তানের হয়ে তখন আমি সবে খেলা শুরু করেছি। ওই সময় মঈন খান ছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। শুরুটা আমার মোটেও ভালো হয়নি। কিন্তু অধিনায়ক মঈন আমাকে এমনভাবে বকাঝকা করতেন যে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়তাম। একদিন এক ম্যাচে আমি খারাপ করি। আউট হওয়ার মুহূর্তে ক্রিজের অপর প্রান্তে ছিলেন মঈন ভাই। তিনি প্রচণ্ড বকা দিয়েছিলেন আমাকে। শূন্য রানে আউট হওয়ার পর সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে রাগ হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মঈন ভাই সেটা প্রকাশ করেছিলেন খুব বাজেভাবে।’

অবশ্য মঈন খানের সেই ‘তিরস্কার’কে সাধুবাদ জানান ইউনিস। তার ভাষ্যে, অধিনায়কের সেই তিরস্কার তার ওপর এমন প্রভাব ফেলেছিল যে পরবর্তীতে পাকিস্তান দলের অন্যতম সেরা ব্যাটম্যানে পরিণত হন।

পাকিস্তানকে ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক বলেন, ‘আমি মঈন ভাইকে ধন্যবাদই জানাই। ওই তিরস্কার আমাকে আরও মনোযোগী হতে, নিজেকে আরও ভালোভাবে গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে। আমি ভুলগুলো থেকে শিখেছি।’

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের হয়ে ১১৮টি টেস্ট খেলে ৫৭.৪০ গড়ে ১০০৯৯ রান করেছেন ইউনিস খান। এতে ৩৪টি সেঞ্চুরি ও ৩৩টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে তার। ২৬৫টি ওয়ানডেতে করেছেন ৭২৪৯ রান, যার গড় ৩১.২৫। ওয়ানডেতে ৭টি সেঞ্চুরি ও ৪৮টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে তার। ২৫টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ইউনিস খান। সেখানে তার রান সংখ্য ৪৪২।

তথ্যসূত্র: ক্রিকেট এডিক্টর

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল