১৪ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৩৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০১৬
নির্বাচনী পরীক্ষা দিতে না পারলে এই শিক্ষার্থীদের এইচএসসিতে অংশ নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে শিক্ষকেরা জানিয়েছেন
সিলেটের মদনমোহন কলেজে আবারও শিক্ষার্থীদের টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। দ্বাদশ শ্রেণির ২০০ শিক্ষার্থীর বেতন ও পরীক্ষা ফির প্রায় ১০ লাখ টাকা লোপাট হয়ে যাওয়ায় আজ সোমবার থেকে শুরু নির্বাচনী পরীক্ষায় তারা অংশ নিতে পারছে না।
আজ সোমবার এই নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হবে। অথচ পরীক্ষায় অংশ না নিতে পারার বিষয়টি শিক্ষার্থীরা জানতে পেরেছে গতকাল রোববার। এতে তাদের অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অন্তত তিনজন ছাত্র ও দুজন ছাত্রী এ প্রতিবেদককে বলে, তারা অনলাইনে নয়, নগদে টাকা পরিশোধ করেছে।
কলেজ সূত্র জানায়, নির্বাচনী পরীক্ষার ফিসহ একজন শিক্ষার্থীরছয় মাসের বেতন ৫ হাজার ৪০০ টাকা। গত অক্টোবরে এ টাকা পরিশোধ করতে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নোটিশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৯০০ শিক্ষার্থীর টাকা জমা পড়ে। বাকি ২০০ শিক্ষার্থী কলেজ প্রশাসনে মৌখিকভাবে টাকা পরিশোধের বিষয়টি জানালে নির্বাচনী পরীক্ষা দুই দফা পিছিয়ে ঘটনাটির অনুসন্ধান হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের বেতন ও নির্বাচনী পরীক্ষার ফির টাকা কারা নিয়েছে, এ বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষ বের করতে না পারায় ২০০ শিক্ষার্থী ছাড়াই নির্বাচনী পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে ২০১৩ সালে মদনমোহন কলেজে ভর্তি-বাণিজ্যের মাধ্যমে এ কলেজের প্রায় ৭০ লাখ টাকা লোপট হয়েছিল। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত স্থানীয় সাংসদ হিসেবে এ কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। এই ৭০ লাখ টাকা ছাত্রনেতারা লুটপাট করেছেন বলে ২০১৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর অভিযোগ করেন তিনি। ভর্তি-বাণিজ্যে থাকা ছাত্রনেতাদের ‘বদমাশ’ বলে ভর্ৎসনা করেছিলেন মন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রীর এ রকম প্রতিক্রিয়ায় তখন তোলপাড় সৃষ্টি হলে কলেজ কর্তৃপক্ষ ভর্তিসহ শিক্ষার্থীদের বেতন ও পরীক্ষা ফি পরিশোধের ব্যবস্থা অনলাইনে কার্যকর করেছিল। অনলাইন-ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ার পরের বছর ২০১৪ সালে আট শতাধিক শিক্ষার্থীর ভর্তি থেকে ৮৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা একসঙ্গে আদায় হয়েছিল।
যোগাযোগ করলে কলেজ অধ্যক্ষ আবুল ফতেহ ফাত্তাহ গতকাল বিকেলে বলেন, ২০০ শিক্ষার্থীর বেতন ও পরীক্ষা ফি বকেয়া রয়েছে। তবে এই টাকা কে নিয়েছে, এ বিষয়ে নিশ্চিত করে তিনি কিছু বলতে পারেননি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেই ঘটনার পর (২০১৩ সালে ৭০ লাখ টাকা লুটপাট) থেকে শিক্ষার্থীদের যাবতীয় আর্থিক লেনদেন অনলাইনে সম্পন্ন হচ্ছে। এ অবস্থায় কোনো শিক্ষার্থী যদি নগদে পরিশোধ করে, তাহলে সেই দায় কলেজ বহন করবে না।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমেদ পলাশ
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ আম্বিয়া পাভেল
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের কর্তৃক ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা (লিফটের-৮), জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে প্রকাশিত। ( শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের দুইটি প্রতিষ্ঠান দৈনিক সিলেটের দিনকাল ও সিলনিউজবিডি ডট কম)
office: Anamika-34. Purbo Shahi Eidgah, Sylhet 3100.
ইমেইল : pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Facebook
মোবাইল: +8801712540420
Design and developed by M-W-D