২৮শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৩৬ অপরাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২০
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজার জেলায় দিনদিনই করেনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে রিপোর্টেও এ জেলাকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও রোববার(১৪জুন) পর্যন্ত নতুন কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চলছে জেলার জীবনযাত্রা। গত ৪ জুন পর্যন্ত ঢাকার ল্যাব থেকে আসা কোভিড-১৯ রিপোর্টে জেলায় শনাক্ত করোনা রোগী ১৯১জন। আর অপেক্ষমান রিপোর্টে সংখ্যা ৬শতাধিক বলে জানান জেলার সিভিল সার্জন ডা. তউহীদ আহমদ। দীর্ঘ ১০দিন ধরে জেলায় কোন করোনা রিপোর্ট না আসায় নমুনা দেয়া প্রায় ৬ শতাধিক মানুষগুলো ও তাদের পরিবারের মধ্যে চরম উৎকন্ঠা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সিভিল সার্জন ডা. তউহীদ রোববার বিকেলে বলেন, কোভিড-১৯ রিপোর্টের জন্য জেলার ৭টি উপজেলায় প্রতিদিন গড়ে ১০০-২৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই আমার কাছে ও উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের(ইউএইচএফপিও) কাছে সম্ভাব্য রোগীদের কাছ থেকে ফোন আসে। অনেকে আবার বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন, কিন্তু আমাদের এক্ষেত্রে কি করার আছে? ঢাকার ল্যাব থেকে রিপোর্ট না আসলে আমরা কিভাবে দেবো।
তেমনি একজন ফল প্রত্যাশী শিমুল পাল বলেন, করোনার রিপোর্ট পজিটিভ বা নেগেটিভ যাই আসুক না কেন এভাবে স্যাম্পেল দিয়ে ১০-১৫দিন অপেক্ষা করতে গিয়ে সুস্থ্য মানুষও দুঃশ্চিন্তা আর ভয়েই মারা যাবে। কিছু লক্ষণ ছাড়া কোন মানুষ করোনা পরীক্ষা করাতে যায় কি? সেখানে ফলের অপেক্ষায় বসে থাকা কতটা সম্ভব। উন্নত বিশে^ প্রতিদিনের রিপোর্ট প্রতিদিন দিয়েও রোগী বাঁচাতে পারছে না সেখানে আমরা রিপোর্টে আশায় ১৫দিন বসে থাকবো। আর উপসর্গ বিহিন রোগীরা হাটবাজারে অবাধে চলাচল করে হাজার হাজার লোককে সংক্রামিত করে দেশটাকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করুক এটা কি সরকার ও প্রশাসন চাইছে?
মৌলভীবাজারের সিনিয়র আইনজীবি বিশ^জিৎ ভট্টাচার্য বলেন, করোনার মত একটি প্রাণঘাতি রোগের রিপোর্টে জন্য এক রোগী কিংবা তার পরিবারের পক্ষে ১০ থেকে ১৫ দিন বা তারও বেশি সময় অপেক্ষা কতটা যন্ত্রনাদায়ক ও কষ্টের তা ভোক্তভোগী পরিবারগুলো বুঝতে পারছেন। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটা নাজুক তা এখন প্রতিটি মানূষই হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন। তিনি বলেন, এ জেলার সচেতন সমাজের দাবি মৌলভীবাজারে সরকারিভাবে অথবা পিপিপি(পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ) এর মাধ্যমে একটি পিসিআর ল্যাব অবিলম্বে চালুর উদ্যোগ নেয়া দরকার। কারণ ঢাকার ল্যাবগুলোর দিকে চেয়ে থাকলে তো করোনা মহামারি থেকে আমরা বাঁচতে পারবো না। হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে যখন পৃথক পিসিআর ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেখানে মৌলভীবাজারের মন্ত্রী ও জন প্রতিনিধিদের এগিয়ে আসা সময়ের দাবি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহ: পরিচালক(অব:) ডা. কমল রতন সাহা বলেন, প্রবাসী অধ্যুসিত এ জেলায় পিপিপি এর মাধ্যমে পিসিআর ল্যাব ও ১৫-২০ টি আইসিইউ বেড, আধুনিক সুবিধা সম্বলিত কোভিড হাসপাতাল চালু করার জন্য সকল মহল এখনই এগিয়ে আসা উচিত। তা নাহলে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা জেলাবাসীর জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।
অন্যদিকে, সিভিল সার্জন ডা. তউহীদ বলেন, দেশের সার্বিক চিত্র দেখে মনে হচ্ছে অল্পদিনের মধ্যে এ জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধিপাবে। তাই সব মহলকে এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় এগিয়ে আসতে হবে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
(পরিচালক)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ আম্বিয়া পাভেল
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের কর্তৃক ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা (লিফটের-৮), জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে প্রকাশিত। ( শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের দুইটি প্রতিষ্ঠান দৈনিক সিলেটের দিনকাল ও সিলনিউজবিডি ডট কম)
office: Anamika-34. Purbo Shahi Eidgah, Sylhet 3100.
ইমেইল : pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Facebook
মোবাইল: +8801712540420
Design and developed by M-W-D