মৌলভীবাজারে গুড়িয়ে দেয়া হল ৪ অবৈধ ইটভাটা

প্রকাশিত: ৫:২৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০

মৌলভীবাজারে গুড়িয়ে দেয়া হল ৪ অবৈধ ইটভাটা

সিলেটের দিনকাল ডেস্ক:
মৌলভীবাজারের ৪টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়েছে গুড়িয়ে দিয়েচে পরিবেশ অধিদপ্তর। এর মধ্যে এক ইটভাটাকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ইসরাত জাহান পান্নার নেতৃত্বে রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলায় এ অভিযান চালানো হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯ টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের মুরালী গ্রামে কাজী খন্দকার ব্রিকস এ অভিযান চালানো হয়। এসময় পরিবেশ বান্ধব উপায়ে ইট তৈরি না করায় উক্ত ভাটার চুলা ভেঙ্গে প্রস্তুতকৃত ইট গুড়িয়ে দেয়া হয়। অভিযানের সময় ওই ইটভাটার মালিক উপস্থিত না থাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে স্বশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।পরে একই ইউনিয়নের কর্ণিগ্রাম এলাকায় অবস্থিত এস.কে ব্রিকসকে নিয়ম না মেনে কাঠ পুড়ানো ও পরিবেশ বান্ধব চুলা না থাকার অভিযোগে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তাৎক্ষনিক ২ লাখ টাকা আদায় করে বাকী টাকা সময় বেঁধে পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এছাড়া দুপুর আড়াইটার দিকে একই ইউনিয়নের মহাসহস্র গ্রামের এম.আর ব্রিকস নামে একটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ভাটার চুলা ভেঙ্গে দেয়া হয়। পরে বিকেলে কুলাউড়া উপজেলার খান ব্রিকস এ অভিযান চালিয়ে চুল্লিগুলো গুড়িয়ে দেয়া হয়। জেলায় মোট ১১টি অবৈধ কারখানায় এঅভিযান পর্যায়ক্রমে চালানো হবে হবে বলে জানায় পরিবেশ অধিদপ্তর।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার জেলার সহকারী পরিচালক বদরুল হুদা বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক স্যারের নেতৃত্বে রাজনগর ও কুলাউড়ার ৪টি ইটভাটায় অভিযান চালানো হয়েছে। এদের মধ্যে কর্ণিগ্রাম এলাকার এস.কে ব্রিকসকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।তবে এই অভিযানের বিষয়ে সাংবাদিকদের কোন বক্তব্য দেননি পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ইসরাত জাহান পান্না। উল্টো তিনি সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাঁধা প্রদান করেন। কর্ণিগ্রামের এসকেবি ইটভাটায় দু’টি চুল্লির মধ্যে একটি ম্যানুয়েল চুল্লির আংশিক ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।

ওই সময় ইটভাটা মালিক মুনায়েম খান জানান, তারা আবেদন দিয়ে চুল্লি ভাঙ্গা শুরু করে দিলেও সেখানে অভিযান চালানো হয়। ভাঙ্গার পরও তাদেরকে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ইসরাত জাহান পান্না ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি বরং বলেন সাংবাদিকরা থাকাতে তিনি স্বাচ্ছন্ধে কাজ করতে পারছেন না।