মৌলভীবাজারে তীব্র ঠান্ডায় শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা

প্রকাশিত: ৭:৫৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২০

মৌলভীবাজারে তীব্র ঠান্ডায় শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
তীব্র শৈত্য প্রবাহে মৌলভীবাজারের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে জেলার চা বাগানগুলোতে শীতে কাবু হয়ে পড়ছেন চরম দারিদ্রসীমায় বসবাসকারী চা শ্রমিকরা। সে সাথে গৃহ পালিত গবাদি পশুগুলো তীব্র শীতে নিদারুণ কষ্ট পোহাচ্ছে। জেলার শতাধিক চা বাগানের প্রায় ৫ লক্ষাধিক জনগোষ্ঠী, নিম্ন আয়ের শ্রমিক ও ছিন্নমূল মানুষ পৌষের হাড় কাপানো শীতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

বিগত এক সপ্তাহ ধরে শীতের তীব্রতায় ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধ ও শিশুরা জেলা সদর ও বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছেন। তিনদিন যাবত দুপুরের পর কিছু সময় সূর্যের আলো দেখা গেলেও কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

জানা যায়, শৈত্য প্রবাহের তীব্রতায় ঠান্ডা জনিত শ্বাসকষ্ট, এজমা, হাপানি কোল্ড ডায়রিয়াসহ নানা রোগে ভোগছেন শিশু,বৃদ্ধসহ নানা বয়সের লোকজন। তার সাথে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়েছে। প্রচন্ড ঠান্ডায় দৈনন্দিক কাজকর্মে স্তবিরতা দেখা দিয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী উপস্থিতি ও হাটবাজার লোকজনের উপস্থিতি অনেক কমে গেছে।

জেলা সিভিল সার্জন দপ্তরের সূত্র মতে, ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত কয়েক ৪-৫ হাজার রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করেছেন। প্রায় ৩-৪ শতাধিক রোগী বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৬টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

কুলাউড়া উপজেলার ইউএইচও ডা. নুরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা খুবই বেড়েছে। কমলগঞ্জের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. সাজেদুল কবির বলেন, শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিদিন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে শ’খানেক রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসছেন। তবে সচেতন না হলে এই তীব্র শীতে শিশুও বৃদ্ধরা নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।