যুক্তরাজ্যের ক্রয়ডন কাউন্সিলের মেয়র শেরওয়ান চৌধুরী কে সুলতান মনসুরের অভিনন্দন

প্রকাশিত: ১:৪০ পূর্বাহ্ণ, মে ৯, ২০২১

যুক্তরাজ্যের ক্রয়ডন কাউন্সিলের মেয়র শেরওয়ান চৌধুরী কে সুলতান মনসুরের অভিনন্দন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ব্রিটেনে বাংলাদেশি কমিউনিটির পরিচিত মুখ ও সিলেটের জকিগঞ্জের কৃতী সন্তান শেরওয়ান চৌধুরী যুক্তরাজ্যের ক্রাউডন সিটির মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাতীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় নেতা সুলতান মুহাম্মদ মনসুর আহমদ। এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন শেরওয়ান চৌধুরী আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তিনি বিদেশের মাটিতে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। আমি উনার সফলতা,সুস্বাস্থ্যে ও সুন্দর জীবন প্রত্যাশা করছি। উল্লেখ্য গত ৪ মে মেয়র হিসেবে তিনি শপথ নেন। করোনা মহামারীর কারণে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রথম জকিগঞ্জের কৃতী সন্তান হিসেবে কেউ ক্রয়ডন কাউন্সিলের মেয়র হলেন। মঙ্গলবার তার কাঁধে দায়িত্ব তুলে দেন সদ্যবিদায়ী মেয়র মেডি হেন্ডসন। এ সময় শেরওয়ান চৌধুরীর গলায় পাঁচ কেজি ওজনের গোল্ড মেডেল পরিয়ে নতুন মেয়র হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয়।

এই আনন্দঘন মুহূর্তে নবনির্বাচিত মেয়রের স্ত্রী রহিমা চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। সরাসরি ও ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে নতুন মেয়র শেরওয়ান চৌধুরীকে করতালির মাধ্যমে অভিনন্দন জানান আগত অতিথিরা। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত জকিগঞ্জ কমিউনিটির কয়েকজন ব্যক্তিও উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, সিলেটের জকিগঞ্জের আটগ্রাম এলাকার চারিগ্রামের আবদুর রকিব চৌধুরীর ছেলে শেরওয়ান চৌধুরী ১৯৭৬ সালে পাড়ি জমান যুক্তরাজ্যে। বাংলাদেশে থাকাকালীন সিলেট সরকারি কলেজে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকার কারণে সেখানে গিয়েও যুক্ত হন রাজনীতির অঙ্গনে। তবে সেখানে গিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের কোনো শাখার সঙ্গে যুক্ত না হয়ে সরাসরি ব্রিটিশ রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ১৯৯০ সালের দিকে ব্রিটিশ লেবার পার্টিতে যোগ দেন তিনি। মাত্র চার বছরের মধ্যে তিনি নিজেকে রাজনীতির অঙ্গনে পাকাপোক্ত করে নিতে সক্ষম হন। ১৯৯৪ সালে সেন্ট্রাল লন্ডনের ক্রয়ডনের বেউলা ওয়ার্ড থেকে লেবার পার্টির মনোনয়ন নিয়ে জয়লাভ করেন। স্থানীয়ভাবে একজন সফল কাউন্সিলর হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন শেরওয়ান চৌধুরী। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। ২০০৬ সালে নরবারি ওয়ার্ড থেকে পুনরায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। পরে ২০১০, ২০১৪ ও সর্বশেষ ২০১৮ সালে নির্বাচিত হন কাউন্সিলর। এভাবে মোট পাঁচবার লেবার পার্টি থেকে নির্বাচন করে কাউন্সিলর হিসেবে বিজয়মালা গলায় পরেন তিনি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ক্রয়ডন কাউন্সিলে মোট ৭০ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। একজন মেয়রের পাশাপাশি কাউন্সিলরদের মধ্যে থেকে একজন ডেপুটি মেয়র নির্বাচিত করা হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে তার দল অর্থাৎ লেবার পার্টি থেকে তিনি ডেপুটি মেয়রের জন্য সিলেক্ট হন শেরওয়ান চৌধুরী।

এরপর কাউন্সিল অধিবেশনে তাকে ডেপুটি মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। একই পদ্ধতিতে এবার তিনি ক্রয়ডন বারার সর্বোচ্চ মেয়র পদে আসীন হলেন। এই বারার মোট ৩ লাখ ৮৪ হাজার ভোটারের প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে শেরওয়ান এক কন্যা ও দুই পুত্র সন্তানের জনক। তার স্ত্রী রহিমা চৌধুরী ক্রয়ডনের স্থানীয় একটি স্কুলে দীর্ঘ ৩১ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল