যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের স্থায়ী কনস্যুলেট অফিস স্থাপনের দাবি : পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

প্রকাশিত: ৫:৪৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০২০

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের স্থায়ী কনস্যুলেট অফিস স্থাপনের দাবি : পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

বিশেষ প্রতিনিধি ::

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের স্থায়ী কনস্যুলেট অফিস স্থাপনের দাবি ওঠেছে । মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে স্থায়ী কনস্যুলেট অফিস স্থাপন প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেইজে একটি লাইভ প্রকাশ করেন । ফেসবুক লাইভে সুমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে অবস্থানরত দ্বিতীয় বৃহত্তম বাঙালি কমিউনিটির দীর্ঘদিনের দাবি মিশিগান অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের স্থায়ী কনস্যুলেট অফিস স্থাপনের বিষয়ে জোর দাবি জানান এবং সংশিষ্ট বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন ।

এসময় বাংলাদেশী বংশদ্ভুত যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ইঞ্জিনিয়ার আহাদ আহমেদ বলেন , মিশিগান শহরে প্রায় ৬৫,০০০ বাংলাদেশী বসবাস করেন । যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে রেমিটেন্স বাংলাদেশে পাঠানো হয়, তার দ্বিতীয় স্থানের দাবিদার আমরা মিশিগানবাসীরা। ২০১৮ সালে বাঙালি অধ্যুষিত শহর হেম্ট্রামিক এবং তৎসংলগ্ন এলাকাকে মিশিগান স্টেইট কর্তৃক বাংলা টাউন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং হেম্ট্রামিক শহরের ৬ জন কাউন্সিলম্যানের মধ্যে ৩ জনই বাংলাদেশী নির্বাচিত কাউন্সিলম্যান প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় , দ্বিতীয় বৃহত্তম কমিউনিটি হওয়া সত্ত্বেও মিশিগানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কোন স্থায়ী কনস্যুলেট অফিস নাই। বিধায় এই বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে ৬৫০ মাইল দূরে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ওয়াশিংটন থেকে সকল কনস্যুলেট সেবা গ্রহণ করতে হয়। আমাদের ধারণা , মিশিগান অঙ্গরাজ্যে একটি স্থায়ী কনস্যুলেট অফিস স্থাপন করলে শুধু এই দ্বিতীয় বৃহত্তর রেমিটেন্স যোদ্ধারাই নয় , বরং বাংলাদেশ সরকারেরও নানা দিক দিয়ে উপকৃত হওয়ার সমোহ সম্ভাবনা রয়েছে । ব্যারিস্টার সুমনের এক প্রশ্নের জবাবে ইঞ্জিনিয়ার আহাদ জানান , মিশিগানবাসীর দীর্ঘদিনের এই দাবিটির বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন , প্রয়াত সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন , সাবেক রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের সহ বাংলাদেশ সরকারের অনেক উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকেই অবগত করা হয়েছে ।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ও স্থানীয় কাউন্সিলর মোহাম্ম্দ হাসান , কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ড. মোহাম্মদ আলম , মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ মতিউর রহমান শিমু  সহ মিশিগান স্টেইট আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ । তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কল্যাণে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সুনজর প্রত্যাশা করেন ।

এই বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার আহাদ আহমেদের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান , সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আমাদের এই দীর্ঘদিনের দাবিটির বিষয়ে অবহিত করা হলে তিনি তা মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং দাবিটি বিশেষ বিবেচনায় রাখা হবে বলে আশ্বস্ত করেন ।