লকডাউন উপেক্ষা করে মাওলানা আনসারীর জানাযায় অর্ধলক্ষাধিক মুসল্লি

প্রকাশিত: ২:১৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২০

লকডাউন উপেক্ষা করে মাওলানা আনসারীর জানাযায় অর্ধলক্ষাধিক মুসল্লি

নাসিরনগর প্রতিনিধি

লকডাউন উপেক্ষা করেই অর্ধলক্ষাধিক মুসল্লি যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের সিনিয়র নায়েবে মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারী নামাজে জানাযায়। শনিবার সকাল ১০টায় তার প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের জামিয়া রহমানিয়া বেড়তলা মাদরাসায় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

মাদরাসার প্রান্তর ছাড়িয়ে জানাযার সারি দীর্ঘ হয় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে। দেশ এবং জেলার শীর্ষ আলেমরা ছাড়াও মাদরাসাছাত্র এবং সাধারণ মানুষ যোগ দেন জানযায়। নামাজে ইমামতি করেন জুবায়ের আহমেদ আনসারীর ছেলে হাফেজ মাওলানা আসাদ উল্লাহ।

অন্যান্যের মধ্যে জানাযায় যোগ দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমীর ইসমাইল নূরপুরী, মহাসচিব মাহফুজুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক, মাওলানা জালাল উদ্দিন, আতাউল্লাহ আমিন, কেন্দ্রীয় নেতা মহসিনুল হাসান, জেলার শীর্ষস্থানীয় আলেম মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা মোবারক উল্লাহ, জেলা খেলাফত মজলিশের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবদুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাঈনুল ইসলাম। এছাড়াও দেশের নামকারা বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষকগণ জানাযায় যোগ দেন।

এর আগে শুক্রবার বিকেল পৌনে ৬টায় জেলা শহরের মার্কাস পাড়ায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রখ্যাত এই আলেম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে, ৪ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারা দেশের আলেম উলামাদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। জুবায়ের আহমদ আনসারীর বাড়ি জেলার নাসিরনগরের হরিপুর ইউনিয়নের আলিয়ারা গ্রামে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওই এলাকা থেকে ১৯৯৬ সালে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মুসদ রানা সমকালকে জানান, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি কিন্তু জনসমাগম কমাতে পারিনি। শুক্রবার থেকে আমরা বিভিন্ন হুজুরদের বুঝিয়েছি, কিন্তু মানুষজন সচেতন না হয়ে এমনটি করেছে।

সূত্র: সমকাল

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল