দৈনিক সিলেটের দিনকালের কোবিড-১৯ সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে আয়োজিত নিয়মিত টকশো-তে মঙ্গলবার সকালে যুক্ত হন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য সাইফুল আহমদ ছফু, দুপুরে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মিসলু চৌধুরী ও ফেঞ্চুগঞ্জ নবপ্রাণ আইডিয়াল স্কুলের পরিচালক শাহরিয়া নাজিম। তিনজনই নিজ নিজ এলাকার মানুষকে সচেতন থাকার আহবান জানান। বিশেষ করে তাদের মূল বক্তব্যে উঠে আসে মসজিদে জামায়াতে ৫ জনের উপস্তিতি ও শুক্তবার জুম আর নামাজে ১০ জনের উপস্তিতির বিষয় গুরুত্ব পায়। এছাড়াও তাদের ব্যক্তি উদ্যোগে কোবিড-১৯ সচেতনতা তৈরি করতে যে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তাও ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি রাজনগর উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর কোন আত্মীয় স্বজনের সন্ধ্যান না পাওয়া, প্রশাসনের কঠোর নজরদারির বিষয় তুলে ধরেন। আগামী দিনগুলোতে কিভাবে মানুষ তাদের নিজেদের নিরাপত্তা নিজেরা নিশ্চিত করবে তারও দিকনির্দেশনা দেন৷ এসকল টকশো – তে উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি উঠে আসে। অন্যদিকে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কচুয়াবহর, ছত্তিশ, হাটুভাঙ্গা গ্রামের লকডাউন করার বিষয় নিশ্চিত করেন তারা। শবে-ই বরাত প্রসঙ্গে শাহরিয়া নাজিম বলেন- মসজিদে যেতেই হবে সেটা নয়, যখন জাতি বিপর্যয়ের মুখে যে সিদ্বান্ত দেবে তা আমাদের মেনে চলা উচিৎ। কেননা আমাদের মহানবী সাঃ নিজেও একজন শাসক ছিলেন। যখন বিপদ এসেছে তখন আল্লাহর নির্দশে তিনি ইসলাম প্রচার করেছেন। মক্কা থেকে বিতাড়িত হওয়ার পরও যদি মহানবী আবার মক্কায় যেতে পারেন তবে আমরাও অবশ্যই মসজিদ বঞ্চিত হব না। এজন্য আগে জাতীয় সার্থ বিবেচনা করতে হবে। তাছাড়া শবেই- বরাতের রাত্রে যেন সকল মুসলমান সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইবাদত করতে পারেন সেদিকে প্রশাসনের নজরদারির প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।