শতাধিক যাত্রীকে বাঁচানো ক্যাপ্টেন নওশাদ এখনো কোমায়

প্রকাশিত: ৫:৪২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০২১

শতাধিক যাত্রীকে বাঁচানো ক্যাপ্টেন নওশাদ এখনো কোমায়

 

 

ভারতে জরুরি অবতরণ করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট নওশাদ আতাউল কাইয়ুম এখনো কোমায় আছেন। তিনি ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) কোমায় আছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।

আজ রোববার বেলা পৌনে দুইটার দিকে গণমাধ্যমের কাছে এসব তথ্য জানিয়েছে নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালটির মুখপাত্র এজাজ শামী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তিনি (ক্যাপ্টেন নওশাদ) এখন কোমায় আছেন। তাঁকে ভেন্টিলেটর দেওয়া হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা গুরুতর। তাঁর স্বাস্থ্যের বিষয়ে আমরা প্রতিদিন একটি করে বুলেটিন দিচ্ছি। আজও আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।’

কিংসওয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শনিবার ক্যাপ্টেন নওশাদের শারীরিক অবস্থা বর্ণনা করে একটি মেডিকেল বুলেটিন দেয়। তাতে বলা হয়, ‘পাইলট নওশাদ অজ্ঞান হয়ে যান এবং তাঁর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় ফ্লাইট চালানোর সময়। এরপর রোগীকে কিংসওয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। রোগী এ সময় কোনো সাড়া দিচ্ছিলেন না, সম্পূর্ণ অচেতন ছিলেন। চিকিৎসাশাস্ত্রের প্রটোকল অনুযায়ী এ ধরনের রোগীকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। তাঁকে এসআইসিইউতে পাঠিয়ে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।’

কিংসওয়ে হাসপাতালের মেডিকেল সার্ভিসেসের পরিচালক সুভরজিৎ দাশগুপ্ত, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ফিজিশিয়ান রঞ্জন বারোকার এবং বীরেন্দ্র বেলেকারের অধীনে রয়েছেন ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম।

গত শুক্রবার সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি ঢাকায় আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন কাইয়ুম অসুস্থ বোধ করেন। পরে বিমানটিকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। আকাশে অসুস্থ হয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাপ্টেন কাইয়ুম কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।

কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানটিকে তার নিকটে নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলটই বিমানটিকে অবতরণ করান। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটিতে ১২৪ জন যাত্রী ছিলেন। ওই ফ্লাইটে যাত্রী ছাড়াও ছয়জন ক্রু সদস্য এবং একজন কো–পাইলট ছিলেন। তাঁরা সবাই নিরাপদে ছিলেন। শুক্রবারই আরেকটি ফ্লাইটে করে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। মধ্যরাতের পর বিমানটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।