শাটডাউন হবে ‘কারফিউয়ের’ মতো

প্রকাশিত: ৪:৫২ অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০২১

শাটডাউন হবে ‘কারফিউয়ের’ মতো

সিলেটের দিনকাল ডেস্ক ::
রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ (শুক্রবার) প্রাতঃভ্রমণ ও শরীরচর্চা শেষে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন বিভিন্ন বয়সী কয়েকজন ব্যক্তি। তাদের কেউ শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, আমলা ও ব্যাংকার। এ সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন তারা। তবে কথাবার্তার মূল বিষয়—করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে শাটডাউনের সুপারিশ। এটা কী, কিভাবে, কবে থেকে শুরু হবে, লকডাউন আর শাটডাউনের মধ্যে পার্থক্য কী এবং ঈদের আগে শুরু হলে কোরবানির পশু কীভাবে বেচাকেনা হবে—এসব নিয়ে তাদের মধ্যে কথা হচ্ছিল।

এ সময় পুরান ঢাকার বাসিন্দা আলমাস হোসেন বলেন, ‘শাটডাউন কীভাবে বাস্তবায়ন হবে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়া প্রয়োজন। আল্লাহ জানেন, সামনের দিনগুলোতে কপালে কী আছে!’

বিভিন্ন স্থানে দিনমজুর থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে শাটডাউন নিয়ে আলোচনা চলছে। এটা এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। লকডাউন শব্দটি এবং এর প্রয়োগ সম্পর্কে ধারণা থাকলেও শাটডাউন সম্পর্কে কারো ধারণা না থাকায় এত আলোচনা।

শাটডাউন শব্দের অর্থ বন্ধ। করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ও মৃত্যু ঠেকাতে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী দুই সপ্তাহের শাটডাউন শুরু হলে দেশের সবকিছু বন্ধ থাকবে নাকি অন্য কোনো উপায়ে নিয়ন্ত্রিত হবে, সবার মনে এখন সেই প্রশ্ন।

পরামর্শক কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাগো নিউজকে বলেন, গত ২৩ জুন কমিটির বৈঠককালে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু প্রতিরোধে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ সারাদেশে ‘কারফিউ’ জারি করার ব্যাপারে একমত পোষণ করেন। তবে গতকাল কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে ১৪ দিনের শাটডাউনের পরামর্শ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সার্বিক দিক বিবেচনা করে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ও জনগণের জীবনের ঝুঁকি ঠেকাতে কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিন শাটডাউনের সুপারিশ করছে। এ সময়ে জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে, আমাদের যতই প্রস্তুত থাকুক না কেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়বে।