১৮ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:২৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩, ২০২০
দেলোয়ার হোসেন :: বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে গত বছরের ০৩রা অক্টোবর আত্মহত্যা করে মারা যায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিকাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বকুল। বকুল মারা যাবার এক বছর পূর্ণ হল আজ।
বকুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলের বি-ব্লকের ১২০ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিল। কি কারণে বা কেন হঠাৎ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বকুল তা আজো জানা যায় নি। তদন্ত কর্মকর্তা তার কক্ষে খুঁজে পায় একটি সুইসাইড নোট, যেখানে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’
বকুল সহ গত ১বছরে আত্মহত্যা করে মারা যায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ২জন। সর্বশেষ দু’দিন আগে আত্মহত্যা করে মারা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্রী আঁছিয়া আক্তার।
এর আগে গত আগস্ট মাসের ০৫তারিখ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তুরাবি বিনতে হক। তিনিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (২০১৮-১৯ সেশন) শিক্ষার্থী ছিলেন।
সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা নিবাসী ছাত্রী তুরাবি ঘটনার আগে লেখাপড়া সংক্রান্ত বিষয়ে মায়ের সাথে রাগারাগি করেন। পরে তিনি নিজ রুমের দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন। দরজা বন্ধ থাকায় পরিবারের সদস্যরা বারবার ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া শব্দ মেলেনি। পরবর্তীতে রাত ৩টার দিকে রুমের দরজা ভেঙে তুরাবির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। যাকে নিয়ে আত্মহত্যার সংখ্যাটা বকুল সহ ৩জনে ঠেঁকে।
গোপন সূত্রে জানা যায়, এই এক বছরেই আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় প্রায় ১৫জন। তারমধ্যে মারা যায় ৩জন আর বেঁচে যায় ১২জন। সংবাদ মাধ্যম জানা যায়, এই ১৫জনের অধিকাংশের কারণ ছিল প্রেম, হতাশা ও মানসিক চাপ।
আত্মহত্যার চেষ্টা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ছাত্র সরকার মোহাম্মদ শাকিলের সাথে কথা বলে জানা যায়, মানুষ হিসেবে আমাদের জীবনে যত হতাশা বা সমস্যাই আসুক না কেন, আমাদের উচিৎ ওই সময়ে আমাদের সমস্যা নিয়ে আশেপাশের আপন মানুষের সঙ্গে কথা এবং সমাধানের পথ খোঁজা। কিন্তু, ওই সময়ে আমরা যারা আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নেই তারা ভুল করি। আমাদের ওই সময়ে মাথা ঠাণ্ডা রেখে সময় নিয়ে ভাবা উচিৎ। নিজেকে শেষ করার মাঝে কোন সমাধান নেই।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত আত্মহত্যা করে মারা যাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগই হচ্ছে ছাত্রী। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, বেশিরভাগ আত্মহত্যা সংগঠিত হয় শিক্ষার্থীদের বাড়িতে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী প্রতিবছর বিশ্বে আট লাখ লোক আত্মহত্যায় মারা যায়। মৃত্যুর হার প্রতি লাখে ১৬ জন।
গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে আত্মহত্যার হার প্রতি লাখে ৬ থেকে ১০ জন, যা উন্নত দেশের কাছাকাছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমেদ পলাশ
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ আম্বিয়া পাভেল
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের কর্তৃক ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা (লিফটের-৮), জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে প্রকাশিত। ( শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের দুইটি প্রতিষ্ঠান দৈনিক সিলেটের দিনকাল ও সিলনিউজবিডি ডট কম)
office: Anamika-34. Purbo Shahi Eidgah, Sylhet 3100.
ইমেইল : pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Facebook
মোবাইল: +8801712540420
Design and developed by M-W-D