শুধু টাকার জন্য কাজ করার কোনো মানে হয় না: নওশাবা

প্রকাশিত: ৫:৩৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০১৯

শুধু টাকার জন্য কাজ করার কোনো মানে হয় না: নওশাবা

বিনোদন  ডেক্সঃঃ  কাজী নওশাবা আহমেদ। অভিনেত্রী, মডেল ও নির্দেশক। একাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি এখন ব্যস্ত আছেন পাপেট শোর নির্দেশনা নিয়ে। এ সময়ের ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তার সঙ্গে-

নাটকের চেয়ে সিনেমায় বেশি ব্যস্ত। বড়পর্দার দিকে এত ঝুঁকে পড়ার কারণ কী?

অভিনয়ের শুরু থেকেই স্বপ্ন দেখেছি, সিনেমায় কাজ করব। এখন বিভিন্ন সিনেমায় কাজের সুযোগ পাচ্ছি, তাহলে কেন অভিনয় করব না। বড় ক্যানভাস নিয়ে দর্শকের যেমন আগ্রহ থাকে, শিল্পীদেরও আগ্রহ থাকে অভিনয়ের। এ জন্য ভালো কাজের সুযোগ পেলেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে যাই।

অভিনয়ের জন্য একের পর এক স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা বেছে নিচ্ছেন। এর পেছনে কি আলাদা কোনো কারণ আছে?

গল্প ও চরিত্র যদি ভিন্ন ধরনের মনে হয়, তাহলেই অভিনয় করি। সেটা স্বল্পদৈর্ঘ্য নাকি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা হবে তা নিয়ে খুব একটা ভাবি না। এর মধ্যে শাব্দিক শাহীনের পরিচালনায় ‘দ্য ন্যাকেড সোল’ এবং তানভীর চৌধুরীর পরিচালনায় ‘এসো সুসংবাদ এসো’ নামের যে দুটি শর্টফিল্মে অভিনয় করেছি, তার গল্প একেবারেই ভিন্ন ধরনের মনে হয়েছে।

আপনার সিনেমার কোন বিষয়গুলো ভিন্ন ধরনের মনে হয়েছে?

সর্বশেষ যে ক’টি সিনেমায় অভিনয় করেছি, তার সব গল্পই একটি থেকে আরেকটি একেবারে ভিন্ন। প্রতিটি চরিত্রে দর্শক নতুন এক নওশাবাকে আবিস্কার করবেন। যেমন ‘দ্য ন্যাকেড সোল’ সিনেমার কথাই বলি। এই সিনেমায় আমাকে দর্শক দেখতে পাবেন রাবেয়া নামের এক ট্রাক ড্রাইভারের স্ত্রীর চরিত্রে। রাবেয়া স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে। কিন্তু তারপরও সে বেঁচে যায়। এরপর থেকে সে সমাজের ব্যারিয়ার ভাঙার চেষ্টা করতে থাকে। পুরো সিনেমা ম্যাজিক রিয়ালিজমের ওপর নির্মিত। অন্যদিকে ‘এসো সুসংবাদ এসো’ সিনেমায় দেখা যাবে নানা ঘাত-প্রতিঘাতে একটি মেয়ে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছে। বিড়ালের সঙ্গে গড়ে উঠেছে তার প্রেমের সম্পর্ক। একইভাবে আমার ফিচার ফিল্ম ‘চন্দ্রাবতী’, ‘আলগা নোঙর’, ‘নাইনটি নাইন ম্যানসন’র চরিত্রগুলোয় দর্শক ভিন্ন ধরনের চরিত্রে আমাকে দেখতে পাবেন। অনেক বাছ-বিচার করেই এই সিনেমাগুলো অভিনয়ের জন্য নির্বাচন করেছি।

ভালো সিনেমার সংকটের কারণেই কি এত বাছ-বিচার করে অভিনয় করা?

যে কাজ দর্শক মনে রাখবেন না, টাকার জন্য সে ধরনের কাজ করার কোনো মানে হয় না। অভিনয় আমার পেশা এবং নেশা দুটোই। কিন্তু আমি কখনও চাই না অভিনয় বিরক্তিকর হয়ে উঠুক। টাকা পাব বলেই মনের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করব- এই মানসিকতা আমার নেই। খেয়াল করে দেখুন, অনেক বছর হলো মিডিয়ায় কাজ করছি। কিন্তু সমসাময়িক অনেকের তুলনায় আমার কাজের সংখ্যা কম। এর কারণ একটাই, যে কাজ মন থেকে সায় দেয়নি, তা কখনও করতে যাইনি। অভিনয়ের জন্য কখনও এটা দেখি না, আমার চরিত্র প্রধান কিনা। বরং চরিত্র সিনেমা বা নাটকের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটাই যাচাই করে দেখার চেষ্টা করে দেখেছি।

২১/১১/২০১৯৩৬৩