শোয়েবের অলরাউন্ড পারফরমেন্সে এলপিএল চ্যাম্পিয়ন জাফনা

প্রকাশিত: ১২:৩৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০২০

শোয়েবের অলরাউন্ড পারফরমেন্সে এলপিএল চ্যাম্পিয়ন জাফনা

স্পোর্টস ডেস্ক

লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শোয়েব মালিকের দল জাফনা স্ট্যালিয়নস।

বুধবার ফাইনাল ম্যাচে গল গ্ল্যাডিয়েটর্সকে ৫৩ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে জাফনা।

টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে জাফনার ব্যাটসম্যানরা সবাই রান পেয়েছেন। তাদের মধ্যে শোয়েব মালিকের ৩৫ বলে ৪৬ রানের চোখ ধাধানো ইনিংসটি ছিল অন্যতম। যা ম্যাচের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। বল হাতেও সফল হন মালিক।

ম্যাচের শেষদিকে উত্তেজনা ছড়ান জাফনার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। মাত্র ১৪ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কার মারে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন পেরেরা।

এছাড়া লাকসানের বলে আউট হওয়ার আগে চমৎকার খেলেছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ২০ বলে ৩৩ রান করেন তিনি।

নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়ে জাফনা।

গল গ্ল্যাডিয়েটর্সের পক্ষে সফল বোলার ছিলেন ধনঞ্জয়া লাকসান। চার ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

১৮৯ রানের বড় টার্গেটে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি গল গ্ল্যাডিয়েটর্স।

শুরুতেই হোঁচট খায় গল। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৭ রান উঠতেই শূন্যরানে আউট হন হযরতউল্লাহ জাজাই।

১ রানে রানআউট হন দানুশকা গুনাথিলাকা। আর ৬ বলে ৬ রান করে লাকমালের বলে আউট হন আহসান আলি।

চার নম্বরে নেমে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক ভানুকা রাজাপাকশে। দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন তিনি।

শেহান জয়াসুরিয়ার সঙ্গে ৪০ বলে ৫৫ রানের জুটি গড়ে দলীয় ৬২ রানের সময় সাজঘরে ফেরেন ভানুকা।

৩ চার ও ৪ ছয়ের মারে ১৭ বলে ৪০ রানের টর্নেডো ইনিংস আসে অধিনায়কের ব্যাট থেকে।

এমন বীরোচিত ইনিংস খেলেও হার এড়াতে পারেননি ভানুকা রাজাপাকশে।

তার চলে যাওয়ার পর শেহান ১৫ রানে আউট হলে দলের পরাজয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়।

তবে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান আজম খানের ৪ ছয়ের ১৭ বলে ৩৬ রান কিছুটা হলেও আনন্দ দিয়েছে গ্ল্যাডিয়েটর্স সমর্থকদের।

নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৫ রান করতে পারে গল গ্ল্যাডিয়েটর্স। ফলে ৫৩ রানের ব্যবধানে জয় পেয়ে এলপিএল শিরোপা নিশ্চিত করে জাফনা স্টালিয়নস।

জাফনার পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শোয়েব মালিক ও উসমান শিনওয়ারি।

এছাড়া ধনঞ্জয় ডি সিলভা, সুরঙ্গা লাকমাল, ভানিন্দু হাসারাঙ্গা ও ডুয়াইন অলিভার পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।

ব্যাট হাতে ৪৬ রানের পর বল হাতে ২ উইকেট নিয়ে ফাইনাল সেরার পুরস্কার জিতেছেন পাক অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল