১৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৩, ২০২০
মুহম্মাদ ওমর ফারুক
সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আমরা আখেরি জমানার
মানুষ পরম সৌভাগ্যের অধিকারী এ কারণে যে আমরা সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর উম্মত। হজরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে দুনিয়ার বুকে প্রথম নবীর আগমন, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনের মাধ্যমে পৃথিবীতে নবী-রসুলের আগমন পর্বের সমাপ্তি টানা হয়েছে। মহানবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর পৃথিবীতে আর কোনো নবী আসবেন না। তিনি হলেন সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য মনোনীত নবী। কিয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ পৃথিবীতে আসবে তারা তার উম্মতের মধ্যেই গণ্য হবে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পথে মানুষকে ডাকার এ মহান জিম্মাদারি তাঁর উম্মতের মাঝে যারা কোরআন-হাদিসের জ্ঞানে জ্ঞানী তাদের ওপর দিয়েছেন। তিনি এ কথাও বলেছেন, তাঁর পরে যদি কেউ নবী হতো সে হতো ওমর (রা.)। কিন্তু পৃথিবীতে আর কোনো নবী আসবেন না। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগে যে হাজার হাজার নবী-রসুল এসেছেন তাঁদের বিশেষ সম্প্রদায়ের নবী-রসুল হিসেবে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আখেরি নবীর আগমন ঘটেছে সমগ্র মানবজাতির জন্য। ইরশাদ করা হয়েছে, ‘হে নবী! আমি তোমাকে সারা বিশ্বের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছি।’ সুরা আম্বিয়া, আয়াত ১০৭।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়ায় এসেছিলেন মিথ্যা থেকে মানুষকে দূরে রাখতে। যারা সত্যের পথের অনুসারী তাদের আখিরাতের জীবনে কীভাবে পুরস্কৃত করা হবে তার বার্তাবাহক হিসেবে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি আপনাকে সমগ্র জাতির জন্য সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে পাঠিয়েছি, অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।’ সুরা সাবা, আয়াত ২৮।
অন্যত্র মানবজাতিকে লক্ষ্য করে মহান স্রষ্টা ইরশাদ করেছেন, ‘মুহাম্মদ তোমাদের পুরুষদের মধ্যে কারও পিতা নন। বরং তিনি হলেন আল্লাহর রসুল ও শেষ নবী। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।’ সুরা আল আহজাব, আয়াত ৪০।
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনের কথা পবিত্র কোরআনের পূর্ববর্তী আসমানি কিতাবগুলোয়ও উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে বনি ইসরাইল! আমি তোমাদের প্রতি আল্লাহর পাঠানো রসুল, সত্যতা বিধানকারী সেই তাওরাতের, যা আমার আগে এসেছে, আর সুসংবাদদাতা এমন একজন রসুলের যে আমার পরে আসবে, যার নাম হবে আহমদ।’ সুরা আস সফ, আয়াত ৬।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব, সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন শিষ্টাচার ও বিনয়ের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর সময় যে আরবরা ছিল শতধা বিভক্ত, হানাহানি ছিল যাদের স্বভাবের অংশ, তারা ঐক্যবদ্ধ জাতিতে পরিণত হয়। হানাহানি দূরীভূত হয় আরব সমাজ থেকে। তার বদলে আরবরা একে অন্যের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে শেষ ও শ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দীনে অটল থাকার তৌফিক দান করুন।
লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক।
সুত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমেদ পলাশ
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ আম্বিয়া পাভেল
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের কর্তৃক ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা (লিফটের-৮), জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে প্রকাশিত। ( শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের দুইটি প্রতিষ্ঠান দৈনিক সিলেটের দিনকাল ও সিলনিউজবিডি ডট কম)
office: Anamika-34. Purbo Shahi Eidgah, Sylhet 3100.
ইমেইল : pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Facebook
মোবাইল: +8801712540420
Design and developed by M-W-D