সাংবাদিক রাজু আহমেদের কিছু কথা….

প্রকাশিত: ৫:০৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫

সাংবাদিক রাজু আহমেদের কিছু কথা….

প্রসঙ্গ, জেলা প্রশাসনে মত বিনিময় সভা! নির্ধারিত আসন নিয়ে প্রশ্ন?

সাংবাদিক রাজু আহমেদের কিছু কথা….

 

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি চেয়ারের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবেন কেন? এখানে তার নির্ধারিত চেয়ার থাকবে অবশ্যই। সিলেটের জেলা প্রশাসক কে এর জবাবদিহি করতে হবে আজ নয় কাল। ডিসির যে কোন মতবিনিময় সভায় প্রধান রাজনৈতিক দল হিসাবে বিএনপি সিলেট জেলা এবং মহানগরের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের অবশ্যই নির্ধারিত চেয়ার থাকার কথা। কিন্তু আজ দেখলাম এর ভিন্ন চিত্র। ভুঁইফোড় সাংবাদিক থেকে শুরু করে নাম জানা অজানা রাজনৈতিক দলের পাতি নেতারা সামনের সারিতে বসে আছেন। বসে আছেন মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি এমদাদ হোসেন ও। ঠিক এই সময় উপস্থিত হন মহানগর বিএনপি’র প্রেসিডেন্ট জনাব রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। চেয়ারের জন্য তাকে ২-৩ মিনিট দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। জনাব জেলা প্রশাসক ও বিষয়টি খুব একটা নজরে নেননি।
এই দৃশ্য দেখে অনেকেই বলেছেন শুক্রবার বিকেলে সিলেটে সাইফুর রহমানের এক স্মরণ সভায় কয়েস লোদী তার বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের আমলের এক জেলা প্রশাসকের শাস্তি দাবী করেছেন। কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেন, যে সার্কিট হাউস সাইফুর রহমান নির্মাণ করেছিলেন সেই সার্কিট হাউসে আওয়ামী লীগের জেলা প্রশাসক সাজ্জাদুল হাসান জনাব মরহুম সাইফুর রহমানকে ভিআইপির রোম বরাদ্দ দেননি। সাইফুর রহমান দেশের কিংবদন্তি তুল্ল একজন প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব ছিলেন। জাতীয় সংসদে ১২ বার বাজেট উত্থাপন করে তিনি নজির সৃষ্টি করে গেছেন। দেশের শক্তিশালী অর্থনীতির সেই সিংহ পুরুষকে কেন সার্কিট হাউসে ভিআইপি রুম বরাদ্দ দেওয়া হলো না এর কারণ জানতে চান তিনি। বলেন সাজ্জাদুল হাসান কে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
কয়েস লোদী সব সময় সাদা কে সাদা এবং কালোকে কালো বলা একজন মানুষ। সেটা তার শত্রুরাও মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে। সিলেটের চার চার বারের নির্বাচিত সিটি কাউন্সিলর। সর্বোপরি তিনি দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি সিলেট মহানগরের প্রতিনিধিত্ব করছেন। জেলা প্রশাসকের মত বিনিময় সভায় তার জন্য একটি নির্ধারিত আসন রাখা অবশ্যই সৌজন্যতার মধ্যে পড়ে।

লেখক :সাংবাদিক,কলামিষ্ঠ,সু-লেখক ও রাজনীতি বিশ্লেসক।

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল