সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলায়  : কমলগঞ্জে স্বাস্থ্যকর্মীকে নাজেহাল করে অবরুদ্ধ, পুলিশি সহায়তায় উদ্ধার

প্রকাশিত: ১১:৪২ অপরাহ্ণ, মে ৫, ২০২০

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলায়  : কমলগঞ্জে স্বাস্থ্যকর্মীকে নাজেহাল করে অবরুদ্ধ, পুলিশি সহায়তায় উদ্ধার

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ নিতে বলায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পতনউষার ইউনিয়নের ধোপাটিলা গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকের এক স্বাস্থ্যকর্মীকে নাজেহাল করে অবরুদ্ধ করে লাকার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৫ মে) বেলা ১টায় এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যকর্মীকে উদ্ধার করেন।
পতনউষার ইউনয়িনের ধোপাটিলা গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মী রুহুল হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, এ গ্রামের রাজা মিয়ার স্ত্রী বেশ কয়েকজন নারীকে নিয়ে সেবা ও ঔষধ নিতে আসেন। এসময় তিনি বলেছিলেন এক সাথে এতজন না এসে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আসতে হবে। এ নিয়ে ঐ নারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বাড়ি ফিরে গিয়ে তার ছেলে রিপন মিয়াকে নিয়ে আসলে রিপন মিয়া (স্বাস্থ্যকর্মীর) শার্টের কলারে ধরে টানা হেচড়া ও গালিগালাজ করে করে। এমনকি তাকে কমিউনিটি ক্লিনিকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে বিষয়টি তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে অবহিত করলে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার করেন।
অভিযুক্ত রিপন মিয়া জানান, স্বাস্থ্যকর্মী শুরু থেকেই তার মায়ের সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। তাছাড়া ২ টাকার টিকেটের বদলে তিনি ৫ টাকা দাবি করেছিলেন। তার মায়ের কাছে টাকা না থাকায় তিনি বাড়ি থেকে টাকা নিতে এসে তাকে বিষয়টি জানালে, সে মায়ের সাথে খারাপ আচরনের কারণ জানতে গিয়েছিলেন। সে স্বাস্থ্যকর্মীকে কোনভাবে নাজেহাল ও অবরুদ্ধ করেনি বলেও জানায়।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, করোনা সংক্রমণকালে ঝুঁকি নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন। সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলায় স্বাস্থ্যকর্মীকে নাজেহাল করে অবরুদ্ধ করে রাখা মেনে নেওয়া যায় না। তাই স্বাস্থ্যকর্মীর নিরাপত্তার জন্যই তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিবেন।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীকে উদ্ধার করে এনেছেন। এসময় অবিযুক্ত ছেলের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন স্বাস্থ্যকর্মী থানায় অভিযোগ করলে তারা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।