সিলেটে ট্রাফিক আইন না মানলে লাইসেন্স বাতিল!

প্রকাশিত: ৮:২৩ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫

সিলেটে ট্রাফিক আইন না মানলে লাইসেন্স বাতিল!

সিলেটে ট্রাফিক আইন না মানলে লাইসেন্স বাতিল!

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

 

সিলেটের নাগরিক জীবন স্বাভাবিক রাখতে ও স্বস্তি নিশ্চিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে প্রশাসন।

এরমধ্যে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে যে ৪টি বিষয়ের উপর, সেগুলো হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ফুটপাত ও রাজপথ হকার্সমুক্ত, অবৈধ যানবাহনগুলোকে মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে রাখা এবং ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ।

 

সিলেট যেনো এক অবৈধ যানবাহনের নগরী। আধ্যাত্মিক এই নগরীতে লাইসেন্সধারী সিএনজিচালিত অটোরিকশাই আছে অন্তত ১৯ হাজার। আর লাইসেন্সবিহীন এ জাতীয় যানবাহনের সংখ্যা এরচেয়েও বেশী বলে জানিয়েছেন সিলেটের নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম।

 

এর সঙ্গে যোগ করুন বৈধ-অবৈধ রিকশার পরিমাণ। আছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাও।

 

আর যখন তখন নগরীতে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের উৎপাততো আছেই। তারা ট্রাফিক আইনের কোনো তোয়াক্কাই করেন না। ট্রাক-বাস-মিনিবাস রাজপথে মারাত্মক যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ।

 

যানবাহনের চালকরা অনেক সময় প্রতিযোগীতায় নামেন। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি যেমন বাড়ে তেমনি যানজটেরও সৃষ্টি হয়।

 

বিশৃঙ্খল এই নগরীর যানবাহন ও চালকদের শৃঙ্খলায় ফেরাতে জরিমানার বিধান আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে পুলিশ প্রশাসন ও বিআরটিএ। এমনকি তাদের লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে।

 

তবে লাইসেন্স বাতিল করার আগে দুইবার সুযোগ দেওয়া হবে তাদের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো পরপর তিনবার জরিমানার পর ওই যানবাহন চালকের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এমন ঘোষণাই দিয়েছে সিলেট মহানগর পুলিশ- এসএমপি।

 

মঙ্গলবার সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) মো. সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সিলেটের পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সাথে অনুষ্টিত মতবিনিময় সভায় এই বিষয়গুলো সবাইকে অবগত করেছেন স্বয়ং পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুছ পিপিএম। ২২ সেপ্টেম্বর থেকেই এ ব্যাপারে কঠোর ভূমিকায় দেখা যাবে সিলেটের পুলিশ প্রশাসনকে। একটি সুন্দর পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ নগরী নিশ্চিতে এ ব্যাপারে তারা নগরবাসী যানবাহনের মালিক ও চালকদের সার্বিক সহযোগীতা চেয়েছেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল