জৈন্তাপুর প্রতিনিধি
জামেয়া ইসলামিয় মহিলা মাদ্রাসার জৈনক শিক্ষক গত ১৯/৪/২০২০ তারিখে তার অসুস্থ পিতার চিকিৎসা ও সংসার চালানোর জন্য মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল গফফার এর পরামর্শ মতে, সভাপতি এডভোকেট আব্দুল আহাদ এর সাথে ফোনে বেতন চাইতেই সভাপতি শিক্ষিকার সাথে অশালিন আচরণ করলে বিষয় টি শিক্ষক শিক্ষিকা ও স্টাফদের মধ্যে জানা যানি হলে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এবিষয়ে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে সভাপতি ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসার সুপারকে নির্দেশ দেন ঐ শিক্ষিকাকে যেন চাকুরীচ্যত করেন। সভাপতির নির্দেশে সুপার ঐ শিক্ষিকাকে চাকুরীর বিষয়ে সবাপতির আদেশ জানিয়ে দেন। ঐ শিক্ষিকাকে কান্না করে অন্যন্ন সহ কর্মিদের সাথে বিষয় টি বল্লে পরিস্থিতি আরো বিরোপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এবিষয়ে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল গফফার ও সহ সুপার মাওলানা গোলাম কিবরিয়ার সাথে আলাপ করলে বিষয় টি সত্যতা শিকার করে বলেন বিগত ২ বছর সোসাইটির পক্ষ থেকে সভাপতি শিক্ষকদের কোন প্রকার বেতন ভাতা দেননি। বরং সভাপতি মাজে মধ্যে এসে ১০০০/৫০০ টাকা সুপার সাহেবের নিকট থেকে নিতেন। এবং অনেক অজানা গোপন তথ্য প্রমান সহ এই প্রতিবেদককে বলেন।
মাদ্রাসাটি পরিচালোনা করেন জৈন্তা ইসলামি সোসাইটি। এলাকার কিছু ইসলাম প্রিয় বেক্তি গন একত্রিত হয়ে সোসাইটির মাধ্যমে তাদের মাসিক চাঁদা, এককালিন অনুদান,ও বিত্তবানদের সাহায্যে ২০০৩ সালের শুরু থেকে এই মাদ্রাসার ভাড়া বাসায় সুরু হায়। এলাকার বিত্তবান দের দান অনুদান, ও সরকারি সাহায্য দিয়ে মোরগাপুল জৈন্তাপুর আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার পিছনে ভুমি ক্রয় করে ভবন নির্মান করে দাখিল পর্যন্ত ক্লাস শুরু হয়। শুরু থেকেই মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষিকাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রতি বছর দাখিল, অষ্টম, ও পঞ্চম শ্রেণির পরিক্ষায় ছাত্রী গন সম্মানে সহিত কৃত কার্য হয়ে আশচ্ছে।
দুঃখ জনক হলেও সত্যি শিক্ষক শিক্ষিকারা বলেন অনেক আশা নিয়ে শিক্ষকতা শুরু করি । এই মাদ্রাসা থেকে তারা যাতাযাত সম্মানি ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকা মাসে পান এই যোগে এত কম বেতনে চলেকি? এর পরও সভাপতির আশ্বাস দেন মাদ্রাসা নিবন্ধিত হলে শিক্ষকরা সরকারিনবেতান পাবেন। তারা বুক ভরা আশা নিয়ে শিক্ষকতা চালিযেনযান। তারা আরো বলেন মাদ্রাসা সরকারি করনত দুরের কথা। এখন পর্যন্ত এই মাদ্রাসার পাট দানের অনুমতি আনতে পারেনি। যা বর্তমা সভাপতির কারনে। শুরো থেকেই একই সভাপতি দায়িত্ব পালন করে আশতেছেন।
কেন পাটদানের অনুমতি ও নিবন্ধন আনতে সভাপতি বাঁধা দেন বিস্তারিত আসচে পরবর্তীতে।
এই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সুপার বর্তমান সহসভাপতি মাওলানা আব্দুল খালিক এর সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন মাদ্রাসার সুপার তিন মাস যাবত বেতন ভাতা না-পাওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন শুরো থেকেই মাদ্রাসার হিসাব টাকা, পয়সা, শিক্ষক দের বেতন সভাপতি নিজেই দিতেন ও সংরক্ষণ করতেন। আমরা শুধু বিভিন্ন জরেন নিকট থেকে দান অনুদান এনে সবাপতির নিকট দিতাম। এবং ঐ শিক্ষিকা সভাপতি তাকে অশালীন আচরণের কথা যানালে, তিনিও সভাপতি এডভোকেট আব্দুল আহাদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তাকেও সভাপতি কোন পাত্তা দেননি।
জনৈক শিক্ষিকার বাবা প্যারালাইসেস রোগে আক্রান্ত। তিন ভাইবোনের বড় তিনি ৫ সদস্যের সংসার চালান মাদ্রাসা সম্মানি ও টিউশনি করে যা পান তা দিয়ে অসুস্ত পিতার চিকিৎসা ও বেঁচে থাকার জন্য কোন রকম সংসার চালান। টিউশনি বন্ধ ও মাদ্রাসা থেকে তিন মাস বেতন নাপেয়ে খুব কষ্টের মধ্যে জীবন যাপন করতেছেন। লজ্জা ভেঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট থেকে ত্রান চেয়ে এনে পাঁচ দিন চলেছেন।
সিলেট জৈন্তাপুর উপজেলার একমাত্র মহিলা মাদ্রাসা উপজেলার সদরে অবস্থিত। করোনা ভাইরাস এর কারনে সরকারি বিধিনিষেধ মেনে মাদ্রাসা বন্ধ করা হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা জানান দীর্ঘ দিন থেকে তিনি এই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে আসতেছেন ফেব্রুয়ারী ২০২০ মাস থেকে বেতন ভাতা পাচ্ছেন না প্রায় তিন মাস বেতন ভাতা না-পেয়ে বার-বার মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এর নিকট বেতন ভাতা চাইলে প্রিন্সিপাল বলেন এই মাদ্রাসার কমিটি শিক্ষক শিক্ষিকা ও ষ্টাফ দের বেতন দেন। কমিটি গত দুইবছর থেকে কোন প্রকার বেতন ভাতা দেননাই। ছাত্র ছাত্রীর মাসিক বেতন দিয়ে কোন মতে জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষক দের বেতন দিয়েছি। এখন আমার কাছে কোন টাকা নাই। আপনি সভাপতি সাহেব এর সাথে যোগাযোগ করুন। সভাপতির সাথে যোগাযোগ করে এবং পিতার চিকিৎসা ও সংসার চালাতে তার বেতন চাইতেই সভাপতি বলেন মাদ্রাসা বন্ধ এখন কিসের বেতন। এবং শিক্ষিকার সাথে খুব খারাপ বিহেপ করেন।
শিক্ষিকা অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষিকা দের সাথে বিষয় টি নিয়ে আলো চনা করলে তাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এবং তারা বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা কে লিখিত অভিযোগ করেন বলে যানান।