সোনালী ব্যাংক শমশেরনগর শাখার উপর অস্বাভিক চাপ,এক দিনে চার কোটি টাকার লেনদেন

প্রকাশিত: ৮:৫৭ অপরাহ্ণ, মে ৩, ২০২০

সোনালী ব্যাংক শমশেরনগর শাখার উপর অস্বাভিক চাপ,এক দিনে চার কোটি টাকার লেনদেন

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা সদরের গত শুক্রবার সোনালী ব্যাংক ভানুগাছ শাখার একজন কর্মকর্তা ও একনজন নিরাপত্তাকর্মী আনসার সদস্য করোনা আক্রান্ত সনাক্ত হওয়ার পর থেকে রোববার (৩ মে) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ শাখাটি লকডাউন করা হয়েছে। ফলে এ শাখার অনলাইন ও কোন কোডরে গ্রাহকের উপস্থিতিতে সোনালী ব্যাংক শমশেরনগর শাখায় রোববার অস্বাভাবিক চাপ বেড়ে যায়। শুধুমাত্র পিন কোডে অর্ধ কোটি টাকা বৈদেশিক রেমিটেন্স প্রদানসহ এক দিনে ৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
রোববার (০৩মে) সকাল ১০টায় ব্যাংক শাখা খোলার কথা থাকলেও নারী-পুরুষ গ্রাহকরা তার আগে সকাল ৮টায় এসে বাহিরে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। গ্রাহকদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিলেও কোনভাবে এ নির্দেশনা মানেননি গ্রাহকরা। সকাল সাড়ে ৯টায় ব্যাংক শাখা খুলে প্রবেশকালে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে গ্রাহকদের হাত বিজিয়ে প্রবেশ করানো হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে গ্রাকহদের উপস্থিতি আরও বেড়ে যায়। বেশ বিলম্বে লাইনের গ্রাককরা ভিতরে প্রবেশ করায় অনেক গ্রাহকদের ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা যায়।
সোনালী ব্যাংক শমশেরনগর শাখার ব্যবস্থাপক প্রিন্সিপাল অফিসার রিপন মজুমদার রোববার বিকেল ৪টায় জানান, উপজেলা সদরের ভানুগাছ শাখা লকডাউনে পড়ায় সেখানের পিন কোড ও অনলাইনের গ্রাহকরা প্রয়োজনে এ শাখায় এসেছেন। তার উপর রোববার সকালে প্রতিবেশী পূবালী ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা আকস্মিক অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় আতঙ্কে পুবালী ব্যাংক শাখার পিন কোডের গ্রাহকরা সোনালী ব্যাংক শাখায় এসে পিনকোডে বৈদেশিক রেমিটেন্সের টাকা উত্তোলন করেছেন। ফলে প্রচন্ড চাপ ছিল এ শাখায়।
সোনালী ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক আরও বলেন, রোববার এক দিনে রেমিটেন্স মিলিয়ে এ শাখায় ৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। যাহা সিলেট বিভাগের মাঝে একটি ইউনিয়ন পর্যায়ের শাখায় এটি প্রথম হবে।
তিনি আরও বলেন, সামনে আরও চাপ বাড়তে পারে আশঙ্কায় শমশেরনগর ইউনয়িনের সকল প্রকার ভাতা প্রধান করবেন ৬ মে সরকারি বন্ধের দিনে খোলা মাঠে। আর ৯ মে শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনের প্রাঙ্গণে গিয়ে সেখানকার ভাতা বিতরণ করবেন।