স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার কমী,কমরেড জামান আজীবন বি প্ল বী !

প্রকাশিত: ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫

স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার কমী,কমরেড জামান আজীবন বি প্ল বী !

স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার কমী,কমরেড জামান আজীবন বি প্ল বী !

“মা”অ সু স্থ মা ম লা র খ ড় গ মাথার উপর! দলের দু:সময়ে পরীক্ষিত সৈনিক দুই জন সাংবাদিককে নিজের গাড়ী করে ঢাকায় যান ১ লা জুলাই ২০২৪সালে প্রথম প্রহরে টাকায় থাকেন নয় দিন! করেন অনেক গােপন বৈঠক সঙ্গীদের ছাড়া! ঐ ৯ দিন ছিল সাবেক সরকারের পতনের নীল নকশা বাস্তবায়নের সব পরিকল্পনা।স্বাক্ষী হোটেল ক্যাপিটেলের রেজিষ্টাড বহি!

এডভোকেট শামসুজ্জামান জামান নিজ থেকে সরে দাঁড়াননি!

কমরেড জামান আজীবন বিপ্লবী! পা-থেকে মাথা পর্যন্ত শহীদ জিয়ার ১৯ দফার কমী হিসেবে কাজ করেছেন এখন দলের ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন জামান ?

 

ওয়েছ খছরু

 

 

সিলেটের এডভোকেট শামসুজ্জামান জামান কেন দূরে? তিনি বিএনপিতে নেই। নিজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। সেটি ছিল আবেগি চলে যাওয়া। চরম দুঃসময়। জামানের জীবনও বিপন্ন। মামলার পর মামলা। আওয়ামী সরকার তাকে নিয়ে অস্থির। ত্রিশের অধিক মামলার আসামি হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘শুট আউট’ অর্ডারের মুখে। দলের ভেতরে নানা চ্যালেঞ্জ। বিরোধীরা সরব। বিএনপি’র রাজনীতিতে জামান ফ্যাক্টর। ২০১৮ সালের ১৮ই আগস্ট তিনি পদত্যাগ করে দল ছাড়লেন। তখনকার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। মাঠের আন্দোলনে থাকায় পরিস্থিতি অনুকূলে ছিল না। সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দল দেখছিলেন জামান। ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক। সিলেটের সভাপতি। তাকে ঘিরেই মূলত দলের কর্মকাণ্ড পরিচালনা হতো। সেই সময় তাকে পাশ কাটিয়ে দেয়া হয়েছে সিলেট স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি। শুধু জামানই নয়, সিলেটে থাকা কেন্দ্রীয় নেতারাও ওই কমিটি গঠনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা জামানকে সঙ্গ দেন। এতে চাপ ছিল জামানের ওপর। শেষমেষ যা করার নয় তাই করে বসলেন জামান। সিলেটের গতিহীন সরকারবিরোধী আন্দোলন নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন।

 

কমিটি গঠন নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেন। এরপর দিলেন পদত্যাগের ঘোষণা। এতে স্বস্তি পেলেন জামান। হঠাৎ করেই মুক্ত হয়ে গেলেন। কিন্তু জামানকে নিয়ে কেউ চিন্তাই করলেন না। যারা পেছন থেকে মদত দিয়েছিলেন তারাও সরে গেলেন। জামান হয়ে গেলেন একা। মায়ের অসুস্থতা জামানকে আরও বেশি বিচলিত করে তুলেছিল। স্ত্রী, সন্তানদের লন্ডনে রেখে মায়ের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। মাও মারা গেলেন। তবে মাঠের জামান মাঠেই রইলেন। গণ-অভ্যুত্থানের পূর্বের সময় নানাভাবে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন আন্দোলনে। সিলেটের সাংবাদিক তোরাব হত্যার দিন। পুলিশের চোখ রাঙানিই নয়, রীতিমতো বুলেটের যুদ্ধ। প্রকাশ্যে অনেকেই প্রতিবাদ জানানোর সাহস পাননি। জামান নেমে এলেন রাস্তায়। দলবল নিয়ে করলেন প্রতিবাদ। নগরের মিরাবাজারকেন্দ্রিক জামানের অবস্থান। সিলেট নগরে বিএনপি’র জামান বলয় প্রতিপক্ষের কাছে আতঙ্কের নাম। নিজ দলের প্রতিপক্ষ গ্রুপের কর্মীরা সমীহ করতেন। রাজপথে তাকে দমানো সহজ নয়। সেটি জানেন সবাই।

জামান সরে যাওয়ায় বলয়ের শক্তি কমেছে। তবে বাংলাদেশ সলিডারিটি মুভমেন্ট নামে সামাজিক আন্দোলনে জামান এখনো সক্রিয়। ডাক দিলেই ছুটে আসেন শ’ শ’ কর্মী। তার কর্মীদের মধ্যে অনেকেই বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। কেউ কেউ কলেজ, ইউনিভার্সিটির ছাত্র। জামানের ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, জামান বিএনপিতেই ফিরতে চান। সিলেট বিএনপি’র অনেকেই সেটি চান না। জামান ফিরলেই বদলে যাবে দৃশ্যপট। জামান বলয় ফের ফ্যাক্টর হয়ে যাবে সিলেট বিএনপি’র রাজনীতিতে। তবে জামান সব সময়ই নতুনদের পক্ষে। এটিই তার রাজনীতির চমক। সিলেট বিএনপি’র বর্তমান সময়ের অনেক সিনিয়র নেতা তার কাঁধে পা দিয়ে সিলেটের রাজনীতিতে ঢুকেছেন। এখন কর্তৃত্ব খাটাচ্ছেন। ইলিয়াস আলীর একান্তজন ছিলেন জামান। বলতে গেলে সেকেন্ডম্যান। ইলিয়াস গুম হওয়ার পর গঠন করেছিলেন ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ। সিলেটে করেছেন দুর্বার আন্দোলন। ইলিয়াসের গুমের পর থেকে তার ওপর দলীয়ভাবে অনেক ঝড়-ঝঞ্জাট গেছে।

প্রতিপক্ষের চালেও তিনি দিনে দিনে কাবু হন। বাড়ি বিয়ানীবাজারে। সিলেটেই জন্ম ও বেড়ে ওঠা। সিলেট ছাত্রদলের সোনালী দিনে যে ক’জন ছাত্রদল নেতার নাম আসবে তাদের মধ্যে জামান অন্যতম। সামনের সারিতে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছেন। টান ছিল জৈন্তা ও গোয়াইনঘাটের প্রতি। রাজনীতির ডালপালা মেলেছিলেন ওই এলাকা। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সিলেট-৪ আসনে ছিলেন বিএনপি’র মনোনয়নপ্রত্যাশী। মনোনয়নও পেয়েছিলেন। সাবেক এমপি ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় পেয়েছিলেন দলের কাছে অগ্রাধিকার। এক পদত্যাগে জামান সবকিছুই হারিয়ে ফেলেছেন। জামান কি দলে ফিরছেন- এমন প্রশ্ন এখন সিলেটে। নানা আলোচনা, জল্পনা তাকে ঘিরে। কী আছে জামানের ভাগ্যে। আগে থেকেই অনেক বেশি নমনীয় তিনি। পেশায় আইনজীবী। আদালতপাড়ায় রয়েছে আলাদা গ্রহণযোগ্যতা।

ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন- জামান বিএনপি’র কর্মী। পদত্যাগ করলেও কোথাও যাননি। বিএনপি’র কর্মী হিসেবে আছেন। পদ নেই। সম্প্রতি দলের শীর্ষ মহলে তিনি যোগাযোগ করেছেন। পদত্যাগের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন। জানিয়েছেন এপলোজিও। এতে বোঝা যায় জামান ফিরছেন আপন ঘরেই। সিলেটের নেতাদের অনেকেরই দ্বিমত। জামান ফিরলে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। দলের জন্য মরিয়া হয়ে কাজ করবে। দলের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠজনেরা। শীর্ষ নেতাদের অনেকেই কথা বলেছেন জামানের সঙ্গে। তাকে ফেরানোর পথও খোঁজা হচ্ছে। জামান কোথায় ফিরবেন। সিলেট না ঢাকার রাজনীতিতে। কোনো একদিকে তার ফেরা দরকার। এজন্য জামানকে খোঁজে নিতে হবে সে পথ। দলের শীর্ষ মহলে আস্থা ফেরাতে হবে। সেই আস্থা কীভাবে ফেরাবেন সেটি জামান নিজেই জানেন। তার ভবিষ্যত কেমন হবে সেটি নির্ধারণের চাবিকাঠিও তার হাতে।

মানব জমিন

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল