স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই কমলগঞ্জে পশুর হাটে মানুষের ভিড়

প্রকাশিত: ৪:৫৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২০

স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই কমলগঞ্জে পশুর হাটে মানুষের ভিড়

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আদমপুর বাজারে পশুর হাটে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেছেন মানুষজন। করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূরের কথা ক্রেতা-বিক্রেতাদের কারও মুখে মাস্কও নেই। হাটের অবস্থা দেখে করোনার সংক্রমণের ভয়ে ক্রেতারা হাটে প্রবেশ না করেই রাস্তা থেকে ফিরে যাচ্ছেন। তবে ইজারাদারের দাবি পশুর হাটে ভিড় থাকলেও বিক্রয় খুবই কম। সরেজমিন দেখা যায়, আদমপুর বাজারের পশুর হাটে শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে শত শত ক্রেতা-বিক্রেতা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা না রেখে হাটে পশু বেচা-কেনা করছেন।
উপজেলার চন্ডীপুর গ্রাম থেকে হাটে আসা গরু বিক্রেতা সাজু মিয়া বলেন, আমি অনেক কষ্ট করে বাড়ি থেকে ১টি গরু বিক্রির জন্য এই হাটে এনেছি। কিন্তু হাটের কোনো নিয়ম-কানুন নেই। যে যার মতো চলাফেরা করছে। এ জন্য অনেক ক্রেতা আসছে না।
সরকারি চাকরিজীবী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ভেবেছিলাম হাটে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু রাস্তা থেকে হাটের দিকে তাকিয়ে প্রবেশ না করেই ফিরে যেতে হচ্ছে। কোরবানির জন্য গরু কিনতে আলেপুর এলাকা থেকে আসা সালাহ্উদ্দিন শুভ জানান, হাটে সামাজিক দূরত্ব নেই। তাই আমি হাটে প্রবেশ না করেই চলে যাচ্ছি। মুখে মাস্কও নেই। চেয়ার-টেবিল নিয়ে গরু বিক্রির রশিদ লিখছেন হাট ইজারাদারের সহকারীরা। যেন করোনার কোনো ভাবনা নেই।
এ বিষয়ে হাটের ইজারাদারের অন্যতম তদারককারি ফারুক আহমদ বলেন, করোনার কারণে এবার বাজারে কুরবানীর পশুর ক্রয় বিক্রয় খুবই কম। হাটে কোন পাইকারও আসছেন না। তিনি আরও বলেন এক বছরের জন্য ভ্যাট,শুল্কসহ ৪৮ লাখ টাকায় এ বাজার ইজারা এনেছেন। এবার লাভতো দূরের কথা প্রচুর পরিমাণে লোকসান হবে। স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে ফারুক আহমদ আরও বলেন, করোনার সংক্রমণ যাতে না বাড়ে সেজন্য প্রচারনা চালিয়ে ও তদারকি করে স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, করোনার কারণে কুরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে ইজারাদারদের কড়াভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারপরও পশুর হাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা হবে।