হাবিব ভাই,অন্তর আজ ব্যারিস্টার হয়েছে,তোমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে..

প্রকাশিত: ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২২

হাবিব ভাই,অন্তর আজ ব্যারিস্টার হয়েছে,তোমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে..

হাবিব ভাই,অন্তর আজ ব্যারিস্টার হয়েছে,তোমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে..

পীর মিসবাহ এমপি

হাবিব ভাই।
অন্তর আজ ব্যারিস্টার হয়েছে।তোমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।পরম করুনাময় আল্লাহর কাছে শোকরিয়া।লিংকনস ইন থেকে ১৭ মার্চ২০২২ সনদ গ্রহন করেছে। মর্যাদাপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিয়েছে।

আমাদের অন্তর আজ ব্যারিস্টার।

হাবিব ভাই। তোমার বড় সখ ছিল এ অনুষ্ঠানে ছেলের সাথে সবাইকে নিয়ে অংশ নেবে।যাওয়া হলোনা।আমি নিশ্চিত তুমি থাকলে রাতের লন্ডনে আজ স্বজনদের নিয়ে তুমুল আড্ডায় রাত ভোর হত।

ছোট জীবন নিয়ে এসেছিলে। বাবা-মার পাশে চিরদিনের জন্য তাই অকালে চলে গেলে।

আমাদের পারিবারিক কবরস্থানে শান্ত নিরিবিলিতে শুয়ে আছো তুমি।জোছনা খুব প্রিয় ছিল।আজ জোছনা রাত।কবরের পাশের পুরনো গাছের পাতা ছুয়ে জোছনা মাখামাখি করছে কবরের মাটিতে।

আইনপেশার আলোকিত মানুষদের সম্মান করতে তুমি।বরেণ্য আইনজীবীদের সাথে ছিল গভীর সম্পর্ক।

আমার প্রতি এক সময় অভিমান ছিল তোমার।অনার্স, এলএল এম করে সুপ্রীম কোর্টে আইন পেশাতে না আসায়।আমার বন্ধু,অগ্রজ- অনুজরা যখন আলোচিত মামলা পরিচালনা করতেন বিচারপতি পদে নিয়োগ পেতেন, বিচারবিভাগে যোগ দিতেন তুমি আনন্দিত হতে।

আমাদের অন্তর সুপ্রীম কোর্টে আসবে ইনশাআল্লাহ।

আজকে তুমি ভীষন আনন্দিত হতে। সবার কাছে অন্তরের জন্য দোয়া চাইতে।

আজকে অন্তরকে নিয়ে আমরা আনন্দিত।মামাতো ভাই শিশু তার ছেলে হামজাকে নিয়ে অন্তরের সাথে লিংকনস ইন এর অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। শিশু আমাকে অনুষ্ঠানের ছবি আর ভিডিও পাঠিয়েছে।

অন্তরের ব্যারিস্টার হবার দিনটি ছিল শুধুই আনন্দের।যদি তুমি চলে না যেতে।যেখান থেকে কেউ ফিরে আসেনা।
তোমার অকাল প্রয়াণ আনন্দের দিনেও বিষাদে ছুঁয়েছে।

বিষাদে ছুঁয়া আনন্দের দিন তাই।

বাবা-মার মধ্যবিত্ত সংসারে আমরা আট ভাই বোন বড় আনন্দময় পরিবেশে বেড়ে উঠেছিলাম।জৌলুসের জীবন না হলেও মায়াময় জীবন ছিল আমাদের।

আমাদের পরিবারের পরবর্তী প্রজন্মের প্রথম সন্তান অন্তর।
তার জন্মের আগে ফোন করে আমাকে বলেছিলে ডায়না আপাকে ডাক্তার হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেছেন।পুষ্প আপাকে নিয়ে সেদিনই যেন ঢাকা আসি।তখন তুমি আবাহনী মাঠের ববিপরীতের শংকরের এক বাসায় ভাড়া থাকতে।

সুনামগঞ্জ থেকে আমরা রাতের গাড়িতে ঢাকা চলে আসি।

ডায়না আপাকে সেই সময়ের পিজি হাসপাতালের কেবিনে ভর্তি করা হলো।ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন কেবিন পেতে সহযোগীতা করলেন তোমার সাথে হাসপাতালে এসে।

বাবা- মা সহ পরিবারের সবাইকে আনন্দে ভাসিয়ে অন্তর জন্ম নিলো।সেদিনের শিশু আজকে ব্যারিস্টার আহনাফ ফাহমিন অন্তর।
সবার দোয়ায় নিশ্চয় সে একজন মানবিক,সৎ,বিনয়ী ভাল মানুষ হবে।

তোমার মত পেশাকে ইবাদত মনে করবে।

পরম করুনাময় আল্লাহর দয়া বর্ষিত হোক অন্তরের জন্য।

তোমার অনন্ত যাত্রা আল্লাহ সহজ করে দিন।বাবা-মার পাশে কবরের জীবনে শান্তি বর্ষিত হোক।
অন্তর আলোকিত মানুষ হোক।

হে আল্লাহ। আমার ভাইয়ের পরকালের জীবনকে আপনি শান্তিময় করে দিন।ক্ষমা আর দয়ার চাদরে ঢেকে রাখুন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল