১৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৫৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৫, ২০২১
মো. আজমল হোসেন, বিয়ানীবাজার থেকে :: বিয়ানীবাজারের প্রশাসনে চলছে লাগামহীন দূর্নীতি। উন্নয়ন কাজ বরাদ্দ, টিআর-কাবিখা, নলকুপ বিতরণ, দরিদ্র বিমোচন কর্মসূচি, প্রকল্প বরাদ্দসহনানা প্রশাসনিক কাজে দূর্নীতি যেন লাগাম ছেড়েছে। সবচেয়ে বেশী দূর্র্নীতি হচ্ছে উপজেলা প্রকৌশল অফিস, সমাজসেবা অফিস, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস, কৃষি অফিস, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প ও যুব উন্নয়ন দপ্তরে। এসব দপ্তরের প্রায় সকল প্রকল্পে নগদ টাকা-পয়সার লেনদেন হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এসব লেনদেনে সরাসরি জড়িয়ে আছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের
নেতাকর্মীরা। তারা আবার নিজেদের মধ্যে দপ্তর ভাগাভাগি করে নিয়েছেন যাতে কমিশন নিয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, বর্তমান সরকার টানা মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার সুবাধে উপজেলা প্রশাসনের অনেকটা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ। একেকটি দল কিংবা গ্রæপ এসব দপ্তরে আধিপত্য বিস্তার করে দূর্নীতির অষড়ায় পরিণত করেছে
প্রশাসনকে। উপজেলা প্রকৌশল অফিস আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক হারুনুর রশীদ দীপু, আব্দুস শুকুর, ছালেহ আহমদ বাবুল, আতাউর খান, আব্দুল আহাদ কলা, আব্দুল খালিক, শিহাব উদ্দিন ও আলমগীর হোসেন রুনুর কথায় চলে। তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে আবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের অন্তত: ২০ জন নেতাকর্মী। উপজেলার কোন জায়গায় উন্নয়ন কাজ হবে, তা তারাই দেখভাল করেন। কোথাও উন্নয়ন কাজের প্রকল্প নিতে হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজনকে তাদের কাছে আগে কমিশন দিয়ে দিতে হয়। প্রতি লাখে ১০ হাজার টাকা দেয়ার পর তবেই ওই এলাকায় উন্নয়ন কাজের
প্রকল্প পাশ হয়। সমাজসেবা অফিসে আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম পল্লব, আরবাব খান, হুমায়ুন কবির, জহিরুল হক রাজু, ইসলাম উদ্দিন, লুৎফুর রহমান ফয়সল, দেবাশিষ রায়, অঞ্জন দাস, ইলাছ হোসেন, আজাদ আহমদ, ময়নুল হোসেন, আবুল হোসেন, আবুল হাসনাত ও তার ছেলেদের একচ্ছত্র দাপট। এই দপ্তর থেকে সেবা পেতে হলে আগে কমিশন দিতে হবে। আর এই কমিশনের ভাগ যায় খোদ সমাজসেবা কর্মকর্তার পকেটে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস নজরুল ইসলাম, জামাল হোসেন, সাইদুজ্জামান টিপু, বেলায়েত হোসেন, লায়েক আহমদ, কামরুজ্জামান, এবাদ আহমদ, সামছুল ইসলাম,আব্দুস সালাম, জহুর উদ্দিন, তুতিউর রহমান তোতা, আবু আহমদ, তাজ উদ্দিন, হাসানুল হক নিয়ন্ত্রণ করছেন। গ্রামীণ সকল উন্নয়ন কাজে তাদের অংশীদারিত্ব না থাকলে কাজ বাতিল হয়ে যায়। মূলত পুরো উপজেলা প্রশাসনের মধ্যে প্রকল্পবাস্তবায়ন অফিসে চলে সবচেয়ে বেশী টাকার খেলা।
কৃষি অফিসে ফয়জুর রহমান, আলী হোসেন, এন্টুস, শাহজাহান সিদ্দিক, সুহেল আহমদ রাশেদ, আমান উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান, আনা মিয়া, আছার উদ্দিন, ইকবাল হোসেন, আতিকুর রহমান, আব্দুল কাদিরসহ আরো কয়েকজন অনেকটা দখল করে রেখেছেন। এই অফিসের সার-বীজ-কিটনাশক পেতে হলে তাদের কাছে ধর্ণা দিতে হয়। তাদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী কৃষকরা কৃষি উপকরণ পেয়ে থাকেন। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প থেকে ঋণ নেয়া প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা। এখান থেকে ঋণ নেয়াদের মধ্যে শতকরা ৯৬জন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। ঋণ নিয়ে তারা তা ফেরত দেয়ার কথা ভাবছেননা। ভূয়া কাগজপত্র ও নাম ঠিকানা ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাত করে বিপুল পরিমাণ এই টাকা তারা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস ছাত্রলীগ আর যুবলীগ নেতাদের নিয়ন্ত্রনে। সার্বিকবিষয় নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী মাহবুবের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুকসানা বেগম লিমা বলেন, দল ক্ষমতায় থাকায় নেতাকর্মীরাহয়তো সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছে। এটা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের কিছু নেই।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমেদ পলাশ
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ আম্বিয়া পাভেল
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের কর্তৃক ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা (লিফটের-৮), জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে প্রকাশিত। ( শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের দুইটি প্রতিষ্ঠান দৈনিক সিলেটের দিনকাল ও সিলনিউজবিডি ডট কম)
office: Anamika-34. Purbo Shahi Eidgah, Sylhet 3100.
ইমেইল : pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Facebook
মোবাইল: +8801712540420
Design and developed by M-W-D