সিলেটে সুরমা নদী খা ব লে খা চ্ছে ‘ ডি প জ ল বা হি নী ! নেপথ্য‘নাট্যকার “প”

প্রকাশিত: ৯:২৯ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৫, ২০২৫

সিলেটে সুরমা নদী খা ব লে খা চ্ছে ‘ ডি প জ ল বা হি নী ! নেপথ্য‘নাট্যকার “প”

সিলেটে সুরমা নদী খা ব লে খা চ্ছে ‘ ডি প জ ল বা হি নী ! নেপথ্য‘নাট্যকার “প”

 

বিশেষ সংবাদদাতা, কানাইঘাট ♦

সুরমা নদীর বালু -মাটি লুটেপুটে খাচ্ছে বিএনপির ডিপজল বাহিনী। গত ১০ আগস্ট থেকে তারা রাতদিন নিষিদ্ধ সাকশান ড্রেজার ও বাল্কহেড ব্যবহার করে উত্তোলন করছে সুরমা নদীর বালু ও মাটি। অবৈধভাবে বালুমাটি উত্তোলন ও বিক্রি করে কামাই করছে হাজার হাজার কোটি টাকা। ডিপজলের লোকজন ইতোমধ্যে প্রায় ১ কোটি ঘনফুট বালুমাটি লোপাট করে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে কোনো প্রকার ইজারা ছাড়াই এ খনিজ সম্পদ লুটপাট করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

কানাইঘাট পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডিপজলের মূল নাম মিজানুর রহমান। এলাকায় তিনি ডিপজল মিজান নামে বহুল পরিচিত। তিনি কানাইঘাট উপজেলার বড়বন্দ গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের পুত্র। তার বর্তমান বাসা সিলেট নগরীর আখালিয়ায়।

কানাইঘাট উপজেলার নন্দিরাই গ্রামের ভুয়া স্থায়ী ঠিকানা দিয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে “মেসার্স মিজান এন্টারপ্রাইজ” নামে একটি লাইসেন্স নিয়েছেন মিজান। লাইসেন্স নিলেও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কোনো ইজারা ছাড়াই মিজানুর রহমান ডিপজল তার দলবল নিয়ে সম্পূর্ণ খাবলে খাচ্ছেন প্রমত্তা সুরমা নদী।
আরও পড়ুন সিকৃবিতে ইয়ুথ ক্লাবের ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা অভিযান

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা গোলাপনগর থেকে শুরু করে কানাইঘাট উপজেলার বড়দেশ পর্যন্ত দীর্ঘ আয়তনের সুরমা নদীতে মরণ ছোঁবল মিজানুর রহমান ডিপজল ও তার লাঠিয়াল বাহিনীর।

ইজারাবিহীন ও বিধিবহির্ভুত বালু উত্তোলনের ফলে সুরমার দু’পারে ভয়াবহ নদীভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে মানুষের ঘরবাড়ি, কৃষিজমি, মসজিদ মাদ্রাসা স্কুল-সহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। এমনকি ঝুকির মুখে পানিউন্নয়ন বোর্ড পাউবো’র বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধও।

সুরমা তীরের বাসিন্দারা তাদের এবং সরকারী ও বেসরকাি সহায় সম্পদ রক্ষায় সুরমা নদী থেকে অবিলম্বে বালুমাটি উত্তোলন বন্ধে সিলেটের নবাগত জেলা প্রশাসক সহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

সুরমা নদী থেকে বালুমাটি উত্তোলনের কথা স্বীকার করে মিজানুর রহমান ডিপজল সাংবাদিকদের বলেন- এখনো পূরামাত্রায় শুরু করিনি, দু’একদিনের মধ্যে পুরোদমে বালু উত্তোলন শুরু করবেন বলে জানান তিনি।

প্রভাত বেলা

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল