অজুহাত দিচ্ছেন কোচ জেমি

প্রকাশিত: ৪:২১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২০

অজুহাত দিচ্ছেন কোচ জেমি

খেলাধুলা : শুক্রবার দোহায় বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাই ম্যাচে স্বাগতিক কাতারের বিপক্ষে বাংলাদেশ ০-৫ গোলে হেরেছে। ফুটবল অঙ্গনে এই হার নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারবে সেটা আগেই জানা ছিল। কারণ কাতার এশিয়ার ফুটবলের বড় মঞ্চে এখন আলোচিত ফুটবল শক্তি। ফুটবলে তাদের অর্থ বিনিয়োগ অকল্পনীয়। এই দেশ ২০২২ সালে ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করবে। যেখানে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে যৌথভাবে বিশ্বকাপ দেওয়া হয়েছিল। আর কাতারকে দেওয়া হয়েছে এককভাবে। যে কারণেই দেওয়া হোক তারা বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে।ফিফার র‍্যাংকিংয়ে কাতার ৫৯ এবং বাংলাদেশ ১৮৪ নম্বরে। এত শক্তিধর একটি ফুটবল দেশের বিপক্ষে বাংলাদেশ আরো বড় ব্যবধানে হারেনি এটাই বড় কথা। তবে হার-জিতের চেয়ে বড় কথা হচ্ছে—বাংলাদেশ কতটা পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পেরেছিল। রক্ষণ নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ হয়েছে। অথচ সেই রক্ষণ ছিল একেবারেই নড়বড়ে। বালুর বাঁধের মতো ভেঙে গিয়েছে। স্রোতের মতো আক্রমণ করেছে কাতার। সামাল দেওয়ার এতটুকু শক্তি বা সামর্থ্য ছিল না। কাতারের ফুটবলারদের স্কিল, স্টেমিনায় অনেক পেছনে পড়ে থাকতে হয়েছে। এত অগোছাল ফুটবল খেলল। কাতার কেমন খেলল তার চেয়েও বড় কথা হচ্ছে—বাংলাদেশের ফুটবলারদের এতটা বাজে পরিস্থিতি হলোই বা কেন।কাতারে সংবাদিকদের সঙ্গে কোচ জেমি ডে ফিটনেস ঘাটতির কথা বলে অজুহাত দেখিয়েছেন। কাতার চার মাস প্রস্তুতি নিয়েছে। আর বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিয়েছে মাত্র চার সপ্তাহ। কাতারের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে লড়াই করা কঠিন। দোহা থেকে ইংল্যান্ড ফিরে যাওয়ার আগে সেখানে কথা বলেন জেমি। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে ছেলেরা ফুটবল খেলতে পারেনি।’ কাতারও করোনার কারণে খেলতে পারেনি। ৪ ডিসেম্বর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলার জন্য কাতার প্রস্তুাব করেছিল বাংলাদেশকে। আর বাংলাদেশ সেটা গ্রহণ করেছে। অথচ এটা ফিফার ঘোষিত তারিখ ছিল না। কাতারের মতো শক্তিশালী ফুটবল দেশের বিপক্ষে যেমনটা প্রস্তুতি থাকা উচিত ছিল সেটা গ্রহণ করতে কেউ বারণ করেনি। অভিযোগের বল ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বাফুফের দিকে। কাতারকে ঠেকাতে হলে কতটুকু প্রস্তুতি দরকার, সেটা কোচের চেয়ে আর কে বুঝবে। কোচ কেন রাজি হলেন।সাবেক তারকা স্ট্রাইকার শেখ মো. আসলাম বর্তমান ফুটবলের প্রতি খুবই বিরক্ত। যার রক্তে মিশে আছে ফুটবল, সেই মানুষ এখন ফুটবল নিয়ে কথাই বলতে চান না। অনুরোধে আসলাম বললেন, ‘নেপালকে হারিয়ে প্লেয়াররা মনে করেছিল কনফিডেন্স বেড়ে গিয়েছে। আগে নিজেকে জানতে হবে। তারপর বলা উচিত। খেলার আগে খেলে ফেললে হবে না।’

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল